স্টাফ রিপোর্টার:
সদ্য বিদায়ি ডিসেম্বর মাসে ছয় মাসের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আয় এসেছে। এ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৯ বিলিয়ন বা ১৯৯ কোটি ডলার। ২০২২- ২৩ অর্থবছরের শেষ মাস গত জুনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২.১৯ বিলিয়ন ডলার। এরপর ডিসেম্বর মাসেই এলো সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, এর আগে নভেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স আয় এসেছিল ১.৯৩ বিলিয়ন বা ১৯৩ কোটি ডলারের বেশি। সেই হিসাবে ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.১০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১.৯৭ বিলিয়ন বা ১৯৭ কোটি ডলার। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে, অর্থাৎ জুলাই- ডিসেম্বর সময়ে দেশে সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স আয় এসেছে ১০.৭৯ বিলিয়ন ডলার।
ডলার। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স আয় আসে ১৯.৯২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯২ কোটি ডলার। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রেমিট্যান্স আয় আসার কারণে বিশ্বব্যাংকের ঐ পূর্বাভাসে কিছুটা ঘাটতি থেকে গেল। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা তিন মাস দেশে রেমিট্যান্স আয়ের প্রবাহ কমে। তবে রেমিট্যান্স আয়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার ফলে অক্টোবরে তা বেড়ে যায়। এরপর নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আয় সামান্য কমলেও ডিসেম্বরে আবার তা বাড়ল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন বছর ধরে জনশক্তি রপ্তানি বেশ চাঙ্গা। তবে সেই অনুযায়ী রেমিট্যান্স আসছে না। কেননা, নানা কারণে প্রবাসীদের মধ্যে অবৈধ পন্থা, অর্থাৎ হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। বর্তমানে রেমিট্যান্স কেনার দর ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারিত থাকলেও ব্যাংকগুলো ১২০ থেকে ১২২ টাকায় কিনেছে।
জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে বিভিন্ন দেশে গেছেন ১২ লাখ ১০ হাজারের বেশি কর্মী। শেষ মাসে ১ লাখ
গেলেও তা ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। ২০২২ সালে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৬ হাজার। এর আগে ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৯ হাজার কর্মী বিদেশে কাজের জন্য গেছেন। তবে রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেড়েছিল করোনার মধ্যে। মূলত তখন হুন্ডি চাহিদা তলানিতে নামায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছিল বেশি।
বছরভিত্তিক রেমিট্যান্স: বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি, ২০২১ সালে ছিল ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার। ২০২০ সালে রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১৭৪ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালে আসে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার। এর আগে ২০১৮ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগের বছর ২০১৬ সালে ছিল ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে এসেছে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। আর ২০১৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৯২ কোটি ডলার।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার