স্টাফ রিপোর্টার:
সদ্য অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন যারা।
সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন সিরাজগঞ্জ -১ আসনে (কাজিপুর ও সদরের একাংশ) আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসিমপুত্র তানভীর শাকিল জয়। আসনটিতে প্রায় ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। পৌনে তিন লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি।
মোট ১৭৩ টি কেন্দ্রের বেসরকারি প্রাপ্ত ফলাফলে জানা গেছে নৌকা প্রতীকে তানভীর শাকিল জয় পেয়েছেন ২ লক্ষা ৭৮ হাজার ৯৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙল প্রতীকে জহুরুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৯ ভোট। এছাড়া জাসদের সাইফুল ইসলাম মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৬০৫ ভোট এবং বিএনএম প্রার্থী সবুজ মন্ডল পেয়েছেন ৫৭১ ভোট।
নির্বাচনে ১৭ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৭২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৫ হাজার হাজার ১১৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৫৫ জন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া -কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপি প্রার্থী শেখ আবুল কালাম আম প্রতীকে ৪৬০ ভোট পেয়েছেন।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী শাহীন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫১৪ ভোট।
সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির আবুল হোসেন সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১১ ভোট।
কুমিল্লা-৯ আসনে পঞ্চমবার জয় পেলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবু বকর ছিদ্দিক চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮২৬০ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মো. গোলাম মোস্তফা কামাল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬১৫৯ ভোট।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা।
আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। ফলাফল অনুযায়ী, ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।
জামালপুর-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন মির্জা আজম। তিনি নৌকা প্রতিকে ভোট পেয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাপা মনোনিত শামছুল আলম লিফটন লাঙ্গল প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৯৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে তিনি ২ লাখ ১৪ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। এর বিপরীতে আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শাহীন খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর থেকে দুই লাখ ৬ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ১৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিলটন প্রামানিক (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট।
রাজবাড়ী-২ (পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি) আসনে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিম।
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ২ লাখ ৫১ হাজার ৪১৬ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের শাহ শহীদ সারোয়ার পেয়েছেন মাত্র ১২ হাজার ১৫ ভোট।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার