স্টাফ রিপোর্টার:
রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বেসরকারি ফলাফলে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী সফি আহমদ সলমান পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২ ভোট। এ ছাড়া ইসলামি ঐক্যজোটের আলোচিত-সমালোচিত প্রার্থী মাওলানা আসলাম হোসাইন রহমানী পেয়েছেন মাত্র ৩৬৬ ভোট।
নির্বাচনের আগের দিন (শনিবার) হোসাইন রহমানী এক বক্তব্যে বলেছিলেন- ‘ভোট যেন কারচুপি না হয়; এজন্য জিনদের বলে দিয়েছি। আমার এখানে মানুষ এজেন্টদের পাশাপাশি জিনরাও কাজ করবে। এজেন্ট তো থাকবেই- সঙ্গে জিনরাও খবরাখবর দেবে যে, ভেতরে কোনো কারচুপি হচ্ছে কি না।’
তিনি বলেন- ‘ভোট যেন কারচুপি না হয়; এজন্য জিনদের বলে দিয়েছি। সুতরাং, কেউ ভোট চুরি করতে পারবে না। কিছু জিনের সঙ্গে আমার নিয়মিত দেখা হয়, আলোচনা হয়। আমি তাদের বলে দিয়েছি- আমার ভোট যেন কারচুপি না হয়।’
এমন আজগুবি বক্তব্য দিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় আসা আসলাম হোসাইন রহমানী অবশেষে হেরেছেন লজ্জাজনক ভোট পেয়ে। তিনি হারিয়েছেন জামানত। তবে ভোটে হারলেও তিনি কারচুপির কোনো অভিযোগ করেননি।
এদিকে, নির্বাচনের আগে প্রচারণাকালে অভিনব পদ্ধতি বেছে নেন আছলাম হোছাইন রহমানী। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী মাঠে ভোট চাইতে গিয়ে তিনি ঝাড়-ফুঁক ও পানিপড়া দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করেন।
এ ব্যাপারে মাওলানা আছলাম হোসাইন রহমানী ওই সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ঝাড়ফুঁক ও পানিপড়া মানুষের কাজে আসে। বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনি সভায় গেলে লোকজন আমাকে দেখে ভিড় করে ঝাড়ফুঁক ও পানি পড়িয়ে নিয়ে যায়।’
মাওলানা আছলাম হোসাইন রহমানী ইসলামী ঐক্যজোটের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার