মালয়েশিয়া প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের কাজ-বেতন না দিলে দেশটির প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ ৩০ বছর অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কলিং ভিসায় গিয়ে কাজ ও খাবার না পাওয়া ২১ বাংলাদেশির কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ২১ বাংলাদেশির নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে ব্যক্তি পাচারবিরোধী এবং অভিবাসী আইন (এটিআইপিএসওএম) ২০০৭ (অ্যাক্ট ৬৭০) অনুযায়ী তদন্ত চলছে।
এ ছাড়া ইতোমধ্যে যেসব নিয়োগকর্তা শ্রমিক এনে কাজ দিতে পারছে না, তদন্তে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ সর্বোচ্চ ৩০ বছর অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
বুধবার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। পরিচালক বলেছেন, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে নিয়োগকর্তার ৩০ বছর কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া মানবপাচারের মতো আরও গুরুতর অপরাধে বেত্রাঘাতও দেওয়া হবে।
জনগণের অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুত্রজায়ার অ্যান্টি-ট্রাফিকিং অ্যান্ড অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং বিভাগের অপারেশনাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সোমবার সেলাঙ্গর রাজ্যের, বন্দরনগরী কেলাং থেকে, কলিং ভিসায় গিয়ে কাজ না পাওয়া ২১ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ২১ বাংলাদেশির বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
শোষণের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা ওই ২১ বাংলাদেশি শ্রমিকদের সবার কাছে বৈধ ওয়ার্ক পারমিট, ট্রাভেল ডকুমেন্টস ছিল। তবে তাদের সবার পাসপোর্ট নিয়োগকর্তার কাছে জমা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে ২১ বাংলাদেশি শ্রমিককে পুত্রজায়ায় ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া আসার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো কাজ দেওয়া হয়নি। বেতন, খাবার খরচসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগগুলোর সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।
নিয়োগকর্তার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিকরা শোষিত বা নির্যাতিত হলে এবং জোর করে শ্রম আদায় করলে এ বিষয়ে অভিবাসন বিভাগকে তথ্য জানাতে দেশের জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ। প্রয়োজনে ০৩-৮০০০ ৮০০০ নম্বরে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে। জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে শোষণের শিকার বিদেশি কর্মীদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার