স্পোর্টস রিপোর্টার:
ঢাকা পর্ব শেষ করে বিপিএল এখন চায়ের শহর সিলেট। এই পর্বের প্রথম খেলায় মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাউন্ডার্স ও খুলনা টাইগারর্স। ম্যাচের আগে রংপুর রাইডার্সের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তির ছিল দলটির সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানের আবারও মাঠে ফেরার খবর। তবে সাকিবকে দলে পেয়েও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি তিস্তা পাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। লঙ্কান সাবেক অধিনায়ক ও খুলনার পেস অলরাউন্ডার দাসুন শানাকার ব্যাটে-বলের তাণ্ডবেই চুড়মার বাবর-সাকিবদের জয়ের পথ।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলেই সিঙ্গাপুরে চোখের ডাক্তার দেখাতে যান সাকিব আল হাসান। সেখান থেকে ফিরেই যোগ দেন দলের সঙ্গে সিলেটে। এরপর কোনোরকম অনুশীলন ছাড়াই গতকাল নেমে পড়েন মাঠে। শুক্রবারের এ ম্যাচে বল হাতে বরাবরের মতোই সাকিব ছিলেন কিপ্টে। চার ওভার হাতঘুরিয়ে কোনো উইকেটের দেখা না পেলেও খরচ করেন মাত্র ২১ রান। এছাড়া রংপুর যখন খুলনার দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করছিল তখন দলটির একের পর এক ব্যাটার ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরে যাচ্ছেন। তবে ব্যাটিং আসছিলেন না সাকিব আল হাসান।
এদিন আট নম্বর ব্যাটার হিসেবে ব্যাট হাতে মাঠে ২২ গজে আসেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার। যদিও ব্যর্থই হয়েছেন তিনি। ৪ বল খেলে মাত্র ২ রান করে শানাকার বলে উইকেটের পেছনে বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাজঘরে। অন্যদিকে চলতি বিপিএলে রীতিমতো উড়ছে খুলনা টাইগার্স। যদিও টুর্নামেন্ট শুরু আগে তেমন একটা আলোচনা হয়নি দলটিকে নিয়ে। আলোচনা না হওয়ারই কথা। কারণ দেশি-বিদেশি মিলিয়ে তেমন কোনো বড় নাম নেই এই দলে। তবে এনামুল হক বিজয়ের নেতৃত্বে তিন ম্যাচ খেলে শতভাগ জয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির।
দুই দিনের বিরতির পর গতকাল মাঠে ফিরেছে চলমান বিপিএল। শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। পাওয়ার প্লের মধ্যে বিজয় ও জয়ের দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা ধাক্কা খায় খুলনা। তবে অন্য পাশ থেকে তা মারকুটে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে কাটিয়ে যাওয়ার তারনায় ছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার এভিন লুইস। তিনি ২৫ বল খেলে ৩৭ রান করে দলীয় ৬৪ রানে আউট হন। তার আগে অবশ্য খুলনা আফিফ হোসেনেরও উইকেট হারায়।
এছাড়াও এদিন খুলনার হয়ে ব্যাটে ৩৩ বল খেলে ৪০ করেন সিলেট পর্বে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া লঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা। সেই সঙ্গে টাইগার্সদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান। রংপুরের বোলাদের হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া শেখ মাহেদী দুইটি ও একটি উইকেট শিকার করেন রিপন মণ্ডল।
খুলনার দেওয়া রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। দলটির সবচেয়ে বড় বিদেশি তারকা পাকিস্তানি ব্যাটার বাবর আজম আগের ম্যাচ দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ালেও এদিন মাত্র ২ রানে ফিরেন তিনি। এই ইনিংসে রংপুরের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন দলের আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। তিনি ৩০ বলে চার ৪ ও ৩ ছয়ের মারে খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। এছাড়া ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহায়ক ছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তিনি ২২ বলে করে ৩০ রান।
এছাড়া দুই ব্যাটার রনি তালুকদার ও শেখ মেহেদী ছাড়া রংপুরের আর কেউই দুই অঙ্কের রানের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। শেষ অবদি ম্যাচের আট বল বাকি থাকতেই অল আউট হয়ে যায় রংপুর। ফলে ২৮ রানের হার দিয়ে সিলেট পর্ব শুরু করে নুরুল হাসান সোহানের দল। এদিন খুলনার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন লঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ও একটি উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার