Daily Jalalabadi

  সিলেট     মঙ্গলবার, ১৯শে আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেন ক্যাম্ফার

admin

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেন ক্যাম্ফার

স্পোর্টস রিপোর্টার:
সিলেটে ফরচুন বরিশাল যেন দেখলো ‘ওয়ান ম্যান শো’। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার একাই যেন গুঁড়িয়ে দিল তামিম-মুশফিক-রিয়াদ-মিরাজদের। প্রথমে ঝড়ো ব্যাটিং এরপর দুর্দান্ত বোলিং পাশাপাশি ফিল্ডিং সব মিলিয়ে তিনি একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছে বরিশালকে, হয়েছেন ম্যাচও।

এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন পারফরম্যান্সের বিষয়ে বললেন, ‘বিশেষ কিছু না, আজকের দিনটা এমনই একটি দিন যেদিন সব কিছু সঠিক হয়েছে। তো আমি খুব খুশি যে দলকে জয় পেতে সহায়তা করতে পেরেছি।’

গতকাল সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বরিশাল-চট্টগ্রাম। এ ম্যাচে ৬ নম্বর ব্যাটার হিসেবে নেমে ৩২২.২২ স্ট্রাইক রেটে ৩ চার ও ২ ছয়ের মারে ৯ বলে খেলেন ২৯ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। এরপর বল হাতে ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে তুলে নেয় ৪ টি উইকেট এখানেই শেষ নয় বাকি উইকেটগুলোতেও ছিল তার অবদান ক্যাচ ধরেছেন ৪টি।

এমন পারফরম্যান্সের পেছনে গেল বছরে বাংলাদেশ সফরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কোনো অবদান রেখেছে কি না, জানতে চাইলে ক্যাম্ফার বলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান যে গত গ্রীষ্মে আমরা এখানে ছিলাম, লম্বা সফর ছিল। গত বছরের বিপিএলেও খেলেছিলাম আমি। ঐ অভিজ্ঞতাগুলো বুঝতে শিখিয়েছে উইকেট কীভাবে আচরণ করে, ঢাকা থেকে এখানে আসা; খুব ভালো উইকেট এখানে। ভালো বাউন্স আছে এখানে। আরো বেশি অভিজ্ঞতা ও শেখার জায়গা এটা। কিছু ছেলে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছে, আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমরা ওপরে উঠছি। আর সুন্দরভাবে এগোচ্ছি। দেশের বাইরে এসে শেখা ও চ্যালেঞ্জ নেওয়া ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা ভালো ব্যাপার।’

গেল বছরও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলেছিলেন ক্যাম্ফার। সেবার এই দলের মতোই নিষ্প্রাণ ছিলেন তিনি। এরপর আবার মার্চে আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে পূর্ণাঙ্গ সফরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আসেন। ঐ সিরিজেই তার সাদা পোশাকে অভিষেক ঘটে। সব কিছু মিলিয়ে এই দেশের প্রতি তার একটা ভালোবাসা জন্মে গেছে। শুধু তাই নয়, এই দেশকে নিজেদের দ্বিতীয় বাড়িও মনে করেন ক্যাম্ফার।

বলেন, ‘এটা খুব ভালো যে পরিমাণ ম্যাচ খেলেছি। আমার মনে হয়, আমি ২৫-২৬টা ম্যাচ খেলেছি বাংলাদেশে। এটা খুব ভালো ব্যাপার এটা এমন একটা দেশ যেটাকে আমার নিজের মনে হয়। আমার নিজেকে এখানে বড় হতে দেখা, আমার কমফোর্ট জোনের বাইরে বেরোনো, বাংলাদেশে নানা জায়গা যাওয়া এটা সুন্দর ব্যাপার। এটা এমন একটা দেশ যেটাকে আমার দ্বিতীয় বাড়ি বলতেই পারি; কারণ এখানকার মতো এত সময় আর কোথাও কাটাইনি। এখানকার সংস্কৃতি, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা, আমার খেলাকে আরো ভালো করাও সুন্দর একটা চ্যালেঞ্জ।’

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার

শেয়ার করুন