Daily Jalalabadi

  সিলেট     রবিবার, ১৭ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ, বাংলাদেশের টার্গেট ফাইনাল

admin

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ, বাংলাদেশের টার্গেট ফাইনাল

স্পোর্টস রিপোর্টার:
স্টপার আফিদা খন্দকার প্রান্তি, স্টপার সুরমা, রাইটব্যাক ইতি, মিডফিল্ড স্বপ্না রাণী মন্ডল, গোলরক্ষক স্বর্ণা, সিংগাপুরের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেছিল। এই পাঁচ জন সিনিয়র জাতীয় দলের, সবার বয়স ১৯। এরা জাতীয় দলে খেললেও বয়স ১৯। কিছু প্লেয়ার আছে যারা কম্পিটিভি ফুটবল খেলেনি। যেমন অনূর্ধ্ব—১৭ দলের ফুটবলার। এরা যারা কম্পিটিভি ফুটবল খেলেনি। ইয়াং যারা আছে তারা আর মূল জাতীয় দলে খেলা যে পাঁচ জন আছেন এরা আগে এক সঙ্গে খেলেনি। এক সঙ্গে অফিসিয়াল কোনো ম্যাচ খেলেনি। অনূর্ধ্ব—১৯ দল গঠনে বাফুফের হাতে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় নেই।

যে কারণে সম্প্রতি বিকেএসপিতে ফুটবলের যে ট্রায়ালটি হয়েছিল সেখান থেকেও তিন চার জন ফুটবলার সাফের দলে নিয়েছে বাফুফে। টিটু বলেন, ‘নবীরন, লিমা এবং বন্যা, আর হচ্ছে না না তিন জনই। বিকেএসপি অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড়দের বাছাই করেছিল। আমরা বলেছিলাম তখন বিকেএসপির উদ্যোগে ম্যাচ আয়োজন করেছিল আমি সেখানে গিয়ে তিন জনকে এনেছি।’ এবার তারা এক সঙ্গে খেলতে যাচ্ছেন, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে। ঢাকায় কমলাপুর স্টেডিয়ামে আগামী ২ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ভারত, ভুটান, নেপাল এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক বাংলাদেশ লড়াই করবে। সাফের সাত দেশের মধ্যে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান খেলতে আসেনি। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, সব দেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল নেই। সিনিয়র দল থাকে। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দল না থাকলে তারা অন্য প্লেয়ার দিয়ে খেলাতেও পারবে না। তাই সাফের সাত দেশ নিয়ে হচ্ছে না এটি।’

জাতীয় দলের খেলার অভিজ্ঞতা আর যারা খেলেননি তারা আরেক রকম অভিজ্ঞতা। এই দুইয়ের সঙ্গে আরও কিছু নতুন ফুটবলারকে একটা তাল আর লয়ের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে কোচ সাইফুল বারী টিটু বেশ পরিশ্রম করছেন। ফাইন টিউনিং বলতে যতটুকু করা যায় তা করতে হয়েছে সিনিয়র দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে। সাফে খেলবে কিন্তু আলাদা করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। কোচ সাইফুল বারী টিটু মনে করেন সিনিয়রদের সঙ্গে, মানে সাবিনাদের সঙ্গে খেলাটাও অনেক ভালো। এটাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। আর চাইলেই তো অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অন্য কোনো দেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানো যায় না। আমাদের জন্য যতটুকু দরকার হয়েছে বলা যায়। আমরা সাবিনাদের বিপক্ষে খেলেছি। এটা সব দেশের সুযোগ হয় না।’

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কোচ টিটুর কোনো ধারণা নেই। তাই তার খেলোয়াড়দের মাথায় ঢুকিয়েছেন প্রতিপক্ষ সব দলই সিনিয়র খেলোয়াড়। সিনিয়রদের বিপক্ষে খেলতে হবে। সেভাবে প্রস্তুতি নিতে খেলোয়াড়দের বলা হয়েছে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ নেই তাতেও কিছু মনে করেন না কোচ টিটু। তিনি বললেন, ‘ভারত নেপাল আছে যেখানে, সেখানেও এই টুর্নামেন্ট কম্পিটিভি হতে পারে। চার দলের লড়াইয়ে তিন ম্যাচ খেলতে হবে। তিন ম্যাচেও কঠিন লড়াই হতে পারে।’ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তারা ফাইনালের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামবেন। বলেছেন, ‘সব ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠতে চাই।’

সাফের জন্য অনূর্ধ্ব—১৯ নারী দল

গোলরক্ষক তিনজন স্বর্ণা রাণী মন্ডল, জুঁই আক্তার, মেরি আইরিশ প্রভেন্স ত্রিপুরা নরভি, আফিদা খন্দকার প্রান্তি (অধিনায়ক), ইতি খাতুন, সুরমা জান্নাত, জয়নব বিবি রিতা, রুমা আক্তার, নাদিয়া আক্তার জুথি, রিতু আক্তার, স্বপ্না রাণী (সহ-অধিনায়ক), ওইশি খাতুন, নুসরাত জাহান মিতু, কানন রাণী বাহাদুর, মুনকি আক্তার, বন্যা খাতুন, লুতফর আক্তার লিমা, পুঁজা দাস, সাগরিকা, তৃষ্ণা রাণী, উমেহলা মারমা, সুলতানা আক্তার, নবীরণ খাতুন।

বাংলাদেশের ম্যাচ:

২ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ ও নেপাল। ৪ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ ও ভারত। ৬ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ ও ভুটান।

৮ ফেব্রুয়ারি, ফাইনাল। খেলা হবে কমলাপুর স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশের খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার

শেয়ার করুন