স্টাফ রিপোর্টার:
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকাটিয়া কালিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব ও উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্দর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় চার মাস আগে পার্শ্ববর্তী চর সেকান্দর গ্রামের এক রিকশা চালকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এখন তিনি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শাশুড়ির অসুস্থতার কথা শুনে ২০ জানুয়ারি দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে হেঁটে তিনি শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চর সেকান্দর গ্রামের মৌলভী বাজারের সামনে সুফিরহাট-বাংলাবাজার পাকা রাস্তায় পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের পেছনের কক্ষে জোরপূর্বক তাকে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন। ঘটনার সময় অপর অভিযুক্ত শাহাদাত বাইরে পাহারা দিচ্ছিল। শাহাদাত একই এলাকার সাহা উদ্দিনের ছেলে।
গত শনিবার শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) শাহনুর আলম বলেন, ভিকটিম গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পরপরই আসামি জোবায়েরকে গ্রেপ্তারে তদন্ত শুরু করা হয়। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার