Daily Jalalabadi

  সিলেট     শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুফিয়ান স্যার

admin

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৩:০০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৩:০০ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
সুফিয়ান স্যার

এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন:
সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার মোল্লাপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টির অবস্থান। স্যারের জন্ম ১৯৬৩ সনে পাতন গ্রামে।১৯৮৭ সালে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন এবং ৩০/১২/২০২৩ ইং তারিখে সরকার কতৃক বিধিমতাবেক অবসর গ্রহন করেন। প্রতিষ্ঠান কতৃক ৩১/০১/২০২৪ ইং তারিখে গণসংবর্ধনার মাধ্যমে কতৃপক্ষকে যথাযথ নিয়মে বিদায় জানান।পেশায় এবং নেশায় ছিলেন আপাদমস্তক শিক্ষক। কর্মজীবনকে সফলতার শীর্ষে নিতে তাকে সহযোগীতা করেছে তার সততা, ন্যায়নিষ্ঠিতা ও খুদাভীরু। বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন ১৫ মিনিট পরে বা আগে প্রতিষ্টান থেকে বিদায় বা আগমন করলে এই সময়ের জন্য আল্লাহর নিকট কি জবাব দেবেন? মানুষের বিবেকই সর্বোচ্চ আদালত। এই আদালত বা আদালতের পিছনের দাড়িপাল্লা তাকে এই পরম শ্রদ্ধা,ভালোবাসা ও সফলতার শীর্ষে নিতে সহায়তা করেছে। সফল শিক্ষকের তালিকায় স্থান করে নিলেন। সে এক দুর্লভ প্রাপ্য। এই সফলতা কে স্বাগত জানাই। স্কুল কতৃপক্ষ তার অবদান কে যথাযথ মূল্যায়ন করার যোগ্যতম প্রতিনিধি। নতুন পুরাতন ছাত্র ছাত্রী এই সফল শিক্ষকের মর্যাদা দিতে পেরে ধন্য।যুগে যুগে এসব আদর্শ শিক্ষকের জন্ম হবে এবং যোগ্য প্রতিনিধিরা তাদের কর্মের মূল্যায়ন করে নিজেরা যেমন ধন্য হবে ঠিক আদর্শ শিক্ষকের তালিকা দীর্ঘ করতে শিক্ষক সমাজ প্রতি্যোগিতার মাধ্যমে আদর্শ শিক্ষক হয়ে এভাবে সম্মানিত হওয়ার চেষ্টা করবেন। যারাই আদর্শ শিক্ষকের খাতায় নাম লিখাবেন তাদের প্রতি আগাম শুভেচ্ছা ও স্বাগতম।

সুফিয়ান স্যার সহকারি শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক এসব কিছুই তোয়াক্কা করতেন না। আমি কীভাবে আমার জীবনের অর্জন বা জ্ঞান কে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে কি বিলিয়ে দিতে পেরছি? সে চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত থাকতেন। আর তার ব্যস্ততার সফলতার স্বীকৃতি পেলেন স্কুলের অভিবাবক, ছাত্র ছাত্রীসহ স্বর্বস্তরের জনগনের ভালোবাসায় ও হৃদয় নিংড়ানো আবেগঘন গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। নিজ গ্রামে বা এলাকায় শিক্ষকতা বড়ই কঠিন। গ্রাম্যরাজনীতির শিকার হয়ে অনেক কে অপদস্ত হতে হয়। সুফিয়ান স্যার এ ক্ষেত্রে একজন সফল ব্যাক্তি। সুফিয়ান স্যারের এই বহুরুপী প্রতিভার কারনে এই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। যেখানে আবালবৃদ্ধবনীতা সকলের মন জয় করা বড়ই কঠিন। প্রাধান্য দিয়েছেন নিজের বিবেক কে। জাগ্রত বিবেক ও খুদা ভিরুতার জন্য বিতর্কের উর্ধ্বে থাকতে সক্ষম হয়েছেন। তাকে আবেগঘন কন্ঠে ছাত্রে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন “ভালো কথা বলবেন, খারাপ কিছু শুনবেন না, ভালো জিনিস দেখবেন, খারাপ কিছু দেখবেন না।” ছাত্র ছাত্রীদের জীবন গড়ার পাতেও হয়ে থাকবে এই উক্তিটি। কর্মেই তাকে কর্মবীর হতে সহায়তা করেছে।কর্মবীর হলে বীরত্ব কখনো বিলীন হয় না। প্রানঢালা ভালোবাসা ও গণসংবর্ধনা দেখে আমি অভিভূত। সরকারি বিধি মোতাবেক অবসর গ্রহন করতেই হয় এটাই বিধীর বিধান। ক্যাম্পাসে রেখে গেছেন অসংখ্য স্মৃতি। স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন, কালের স্বাক্ষী হিসেবে গুনী শিক্ষকদের নামে বিভিন্ন হল বা কক্ষ নামকরন করলে আদর্শ শিক্ষক হওয়ার প্রতিযোগিতা বাড়বে। এ ক্ষেত্রে তার নামে একটি কক্ষ নামকরন করা যেতেই পারে। যদি কোন বিতর্ক না আসে। গ্রামের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে সর্বোস্তরের মানুষের মন জয় করা সে এক বিশাল অর্জন। সুফিয়ান স্যার জীবদ্দশায় এই ভালোবাসাকে ধরে রাখার আহবান জানাচ্ছি এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
লেখক, সভাপতি- সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার, সিলেট।
লেখক: সভাপতি, সু-সাশানের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার, সিলেট।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন