স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট বিভাগে একের পর এক ঘটছে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। প্রায় প্রতিদিন কোনো কোনো স্থানে ঘটনা দুর্ঘটনা, মানুষ হচ্ছেন হতাহত।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে- নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতেই সিলেট বিভাগে সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ হন। আহত হয়েছেন ৪৪ জন। দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৮টি।
সিলেটে কিছুতেই থামছে না সড়ক দুর্ঘটনা। গতকাল শনিবারও (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিভাগের হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে এসব সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে- ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নিমাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।
দুর্ঘটনা রোধে কয়েকটি সুপারিশও দিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সেগুলো হচ্ছে- রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পুর্নাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানী ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা, দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 996 বার