কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
বান্ধবীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন েরিয়া খাতুন (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। বান্ধবীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
নিহত রিয়া খাতুন কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের রাশিদুল মালিথার মেয়ে। তিনি কুমারখালী আদর্শ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে রিয়া লেখেন, অনেক মানুষই তো মরে, আমি মরলেই দোষ কী বা তাতে।
নিহতের ফুফু টুম্পা খাতুন জানান, তার ভাতিজি রিয়ার সঙ্গে সহপাঠী নুসরাতের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তারা একে অন্যকে একদিন না দেখে থাকতে পারত না। দুই বান্ধবী ওয়াদাবদ্ধ ছিল যে, পড়ালেখা শেষ করে একসঙ্গে বিয়ে করবে। কিন্তু হঠাৎ নুসরাতকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের পর নুসরাত বাবার বাড়িতে এলে রিয়া তাকে স্বামীর বাড়ি যেতে নিষেধ করে। নুসরাত তার অনুরোধ উপেক্ষা করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী ওয়াজ মাহফিল থেকে ফিরে এসে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
পার্শ্ববর্তী সাবেক কলেজ শিক্ষক দিপু মুন্সী বলেন, রিয়া খাতুন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে মেধা তালিকায় বৃত্তি পান। সে কারণে আমি নিয়মিত তার লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতাম। শিক্ষাক্ষেত্রে রিয়ার অ্যামবিশন ছিল অত্যন্ত হাই। কিন্তু নসিমন চালক বাবার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে রিয়া মাঝে মাঝে ডিপ্রেশনে ভুগত। সব কিছু মিলিয়ে এমন মেধাবী শিক্ষার্থী বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ। যা মেনে নেওয়ার মতো নয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় আনইউজুয়াল ডেথ (ইউডি) মামলা হয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার