স্টাফ রিপোর্টার:
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের ধানুয়াঘাটা পূর্বপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক হাসান আলি ও সাবিনা খাতুনের দম্পতির তিন সন্তানের (দুই ভাই ও এক বোন) মধ্যে সাগর হোসেন (২০) ছিল সবার বড়। রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো ৪৬ জনের একজন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, অভাব-অনটনের সংসারে পড়ালেখায় বেশি দূর আগাতে পারেননি তিনি। এ বছর এইচএসসি পাশ করে সংসারের হাল ধরতে পাড়ি জমায় ঢাকায়।
শুক্রবার (১ মার্চ) তার বাড়ির সামনে শত শত মানুষ। হঠাৎ একটি লাশবাহী গাড়ি আসতে দেখে কান্নার রোল পড়ে পুরো এলাকায়। সেই গাড়িতে ছিল সাগরের লাশ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গারদা শিল্ড সিকিউরিটি কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে ২৭ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ক্লথিং ব্র্যান্ড ইপিলিয়ন শোরুমে কাজ শুরু করেন সাগর। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ভবনে কর্মরত অবস্থায় আগুনে আটকা পড়ে অন্যদের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সাগরের বাবা হাসান আলী বলেন, কৃষিকাজ করে কোনোরকমে সংসার চালাতে হয়, ছেলেকে পড়ালেখা করানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অল্পবয়সে কর্মের সন্ধানে তাকে ঢাকায় যেতে বলি। কিন্তু এভাবে তাকে লাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে কখনো ভাবিনি।
মা সাবিনা খাতুন বলেন, দুদিন আগে ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে। বেতন তুলে ১০ তারিখে বাড়ি আসবে বলেছিল। বাড়িতে আসার আগেই আমার ছেলেটা পৃথিবী থেকে চলে গেল।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার