হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে কবির মিয়ার বাড়িঘরের দরজা জানালা আসবাবপত্র ভাংচুর ও নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৩ মার্চ) তারাবিহ নামাজের সময়কালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই গ্রামের নবীদ আলী, আব্দুস শহীদ ও কবির মিয়াসহ তিন ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধ নিয়ে সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব মামলা বিচারাধীন রয়েছে। উভয় পক্ষই মামলা পাল্টা মামলায় জর্জরিত। কিন্তু নবীদ আলীর পুত্র মহিম মিয়া, জামাল মিয়া, আব্দুস শহীদের পুত্র জুবায়েদ, মোজাম্মিল, মুজাহিদ, আব্দুল হাইসহ ভাই ভাতিজারা জনবল বেশি হওয়ায় তাদের আপন চাচা কবির মিয়া ও তার পরিবারের লোকদের উপর শারীরিক নির্যাতনসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করেই যাচ্ছেন বলে ভূক্তভোগীগণ জানান। তাদের মাঝে বিদ্যমান বিরোধটি মিমাংসা করতে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও নবীদ আলীর লোকজন নমনীয় না হওয়ায় মিমাংসার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
এরই জের ধরে ১২ মার্চ তারাবিহ নামাজ চলাকালীন পুরুষশূন্য বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দরজা জানাল ভাংচুর ও ঘরে ঢুকে সুকেশের গøাস ভাংচুর করেছেন নবীদ আলীর ছেলে ভাতিজারা। জমি নিয়ে বিরোধের কথা নবীদ আলীর পুত্র মহিম মিয়া স্বীকার করলেও হামলা ভাংচুরে নিজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। এদিকে অতর্কিত হামলার কথা স্বীকার করে কবির মিয়ার স্ত্রী বলেন- তারাবিহ নামাজের পর পরই হামলায় হামলায় আমরা আতংকিত হয়ে পড়ি। শোর চিৎকারের গ্রামের লোকজন এসেও হামলাকারীদের দেখতে পান।
জানতে বাহুবল মডেল থানার (ওসি) মোঃ মশিউর রহমান বলেন- ঘটনাটি শুনেছি, তবে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নবীদ আলী, আব্দুস শহীদ ও কবির মিয়ার মাঝে বিদ্যমান বিরোধ মিমাংসার জন্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরীসহ অনেকেই উদ্যোগ নিলেও পরে রহস্যজনক কারণে ব্যর্থ হন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন-তাদের বিরোধটি মিমাংসায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারই যতেষ্ট, যদি তারা আন্তরিক হতেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার