স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু কার্যক্রমও সম্পন্ন করতে যাচ্ছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতাদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে কেন্দ্রীয় সংসদ।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, নতুন কমিটিতে পদ পেতে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন ১১১ জন নেতাকর্মী। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এগিয়ে আছে পুরাতন নেতাকর্মীরা। তবে এ দৌঁড়ে পিছিয়ে নেই নতুনরাও। ফলে কমিটিতে পদ পেতে মরিয়া হয়েছেন তারা। এজন্য কেন্দ্রেীয় ছাত্রলীগের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথেও লিংক-লবিংয়ে তোড়জোড় শুরু করেছেন পদ প্রত্যাশীরা। এমন ডজনখানে নেতা পদের দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন বলেও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।
ছাত্রলীগসূত্রে জানা যায়, কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে লবিংয়ের দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন পুরাতনরাই। এর মধ্যে রয়েছেন শাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক সহ-সভাপতি মামুন শাহ ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক তায়েফ হোসেন ও ইংরেজী বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তারেক হালিমী, নতুনদের মধ্যে থেকে এগিয়ে আছেন, ইংরেজী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সীমান্ত, অর্থনীতি বিভাগের নাজমুল হুদা শুভ, ইংরেজী বিভাগের যুগ্ম সম্পাদক আদিল আহমেদ, পলিটকাল স্টাডিজ বিভাগের মনসুর আলম নিরব ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ফারহান চৌধুরী আরিয়ান।
এ ছাড়া রয়েছেন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ফারহান রুবেল, মুনকির কাজী, সাজ্জাদ ভূঁইয়া, হৃদয় তালুকদার, বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন, গনিত বিভাগের আনিসুর রহমান আনাস, বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের কাউসার আহমেদ সোহাগ, রাজীব সরকার, আল হোসাইন (হাসান), উজ্জ্বল মিয়া, লোকপ্রশাসন বিভাগের ইমামুল হোসেন হৃদয়, মো. শামীম রানা, সুজন বৈষ্ণব, মিলন মাহমুদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রেজাউল হক সিজার, মো. আশরাফুল ইসলাম বাঙালী, নাহিদ হাসান খান, অর্থনীতি বিভাগের রিদুয়ান ইসলাম, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সেলিম হোসেন, সানজিদ চৌধুরী তন্ময়, সমাজকর্ম বিভাগের তানিম খন্দকার।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাদ্দাম হোসেন পিয়াস, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ইফতেখার আহমেদ রানা, সমাজবিজ্ঞানের মাইদুল ইসলাম মুরাদ, বিএমবি বিভাগের লোকমান হোসেন, বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূরে আলম শ্রাবন, সৈয়দ কিনকেল উদ্দিন, পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগের শিক্ষার্থী সামশেদ ছিদ্দিকী সুমন, অমিত সাহা, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শুভ সাহা, আশিকুর রহমান আশিক, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সায়েম তালুকদার, লোকপ্রশাসন বিভাগের মারুফ মিয়া, আবু বকর, আবু জাফর লাসিম, ইংরেজি বিভাগের কাজী মোহাইমিনুল ইসলাম বাঁধন, সমাজকর্ম বিভাগের আয়াজ উদ্দিন হালিম, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিমুল মিয়া প্রমুখ।
পদ প্রত্যাশী এ নেতাকর্মীদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, অছাত্র, মাদকসেবন, ব্যবসা, মাদক বহনের দায়ে মামলা ও সাজা, যৌন হয়রানি, সাংবাদিক পেটানোর দায়ে বহিস্কার, চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, ফাও খাওয়া, ছাত্রদল-শিবির থেকে অনুপ্রবেশকারী, সাইবার বুলিং, নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্থা, নিজ দলের কর্মীদের গ্রুপ থেকে বের করে দেয়া, মামলা, হলে ফাও খাওয়া, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর ও হুমকি, আবাসিক হলের কক্ষ দখল ও ভাংচুর, গ্রুপিং অন্তর্কোনল, পরীক্ষায় নকল, শিক্ষককে হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত রয়েছেন। তবে এই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে কমিটি দেওয়ার আশ্বাস কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের।
কমিটি গঠনের বিষয়ে শাবি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ আইটি বিষয়ক সম্পাদক মো. নাজমুস সাকিব বলেন, কমিটিতে তারাই আসবেন, যাদের ছাত্রত্ব আছে, ক্লিন ইমেজধারী, সৎ, মেধাবী, যোগ্য এবং নেতৃত্ব গুণাবলীসম্পন্ন। যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করবে, তারাই কমিটিতে স্থান পাবে। তবে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সংগঠন বহির্ভূত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের অভিযোগগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখে কমিটি গঠন করা হবে। আমরা কমিটি দিয়ে কোন বিতর্ক তৈরি করতে চাই না, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সর্বদা সজাগ রয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার