স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামবাগ এলাকার টাইগার গলির ‘কমিশনার বিল্ডিং’র আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০টি ইউনিটের সাত ঘণ্টারও বেশি সময়ের চেষ্টায় এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালবাগ ফয়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার মো. মুস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা আগুন নির্বাপণ করতে সক্ষম হয়েছি। এই মুহূর্তে আর কোনো ঝুঁকি নেই। ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এটি একটি কেমিক্যাল এবং প্লাস্টিক রিসাইকেল প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন প্লাস্টিক কণা ও কেমিক্যাল দ্রব্যাদি স্তূপ করা ছিল। যার কারণে আমাদের এখানে প্রবেশ করতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে ভেতরের আগুন কমিয়ে ধোঁয়া বের করেছি। পরে ভেতরে প্রবেশ করেছি। আগুন যেন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে আমাদের শুরু থেকেই প্রচেষ্টা ছিল। আমরা সফল হয়েছি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে গেছি। কোনো হতাহতের খবর আমরা পাইনি।
কি কারণে এমন আগুনের ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আগুনের সূত্রপাত তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না। তবে এখানকার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলোতেই অপরিকল্পিতভাবে স্টক আকারে কেমিক্যাল এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এরপর আবার আমাদের পানি এবং রাস্তার সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে কী ধরনের পরিস্থিতি হতে পারত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আশপাশে অসংখ্য লাগোয়া ভবন ও বাড়ি ছিল। যদি এই আগুন ছড়িয়ে পড়তো তাহলে ভয়াবহ একটি অবস্থা তৈরি হতো। এখানে দুটি বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার রয়েছে। এটি যদি বিস্ফোরণ হতো তাহলে ভয়ানক অবস্থা তৈরি হতো।
আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সবসময় এসব বিষয়ে মানুষজনকে সতর্ক করে আসছি। মানুষকে সতর্ক করার জন্য মহাপরিচালকের নির্দেশক্রমে সব ধরনের প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। আগুন নির্বাপণ করতে এসে ফায়ার সার্ভিসের কেউ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
অপরদিকে, আগুন নির্বাপণ করার পরও থেমে থেমে ভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া ও পানি বের হতে দেখা গেছে। এছাড়া প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের পুরো এলাকাজুড়ে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার