স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বান্ধবীর সঙ্গে মেঘনা নদীতে ভ্রমণ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)। সে নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে।
নরসিংদী মডেল কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল আনিকা। ধারণা করা হচ্ছে, ভ্রমণতরী ট্রলারডুবিতে সে মারা গেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু সংলগ্ন রেলওয়ে সেতুর নিচে মেঘনা নদীতে ভ্রমণতরী ট্রলারডুবিতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বাড়ি থেকে তার বান্ধবী রুবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে তার সঙ্গে বিকালে ভৈরবের মেঘনার ব্রিজ দেখতে যায়। মেঘনা নদীভ্রমণের জন্য আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা নৌকায় ওঠে। নৌকায় ভ্রমণের সময় একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ভ্রমণতরী ধাক্কা লেগে নদীতে ডুবে যায়। ডুবে গেলে নৌকায় থাকা ২০-২৫ জন যাত্রীর মধ্য সুবর্ণা বেগম নামে এক নারীর মরদেহ ও ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও পুলিশ ও তার পরিবারসহ আরও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারেননি, এ জন্য উদ্ধারকাজ ফায়ারকর্মীরা বন্ধ রাখেন। আজ শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল এসে আবার উদ্ধার কাজ শুরু করে।
শিক্ষার্থী আনিকার বাবা দারু মিয়া বলেন, ইফতার করার পর নামাজ শেষে শুনতে পাই আমার মেয়ে নাকি মেঘনা নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছে। আমি জানতাম আমার মেয়ে তার খালার বাসায় গেছে। ঘটনার সময় তার বান্ধবী রুবা সাঁতার কেটে পাড়ে উঠে বেঁচে গেলেও আনিকা নদীতে নিখোঁজ হয়।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার