Daily Jalalabadi

  সিলেট     সোমবার, ১৮ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত ভেবে পাঁচ লাশের সারিতে সোনিয়া, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ

admin

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪ | ০১:০৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪ | ০১:০৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
মৃত ভেবে পাঁচ লাশের সারিতে সোনিয়া, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার:
বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনায় আহত সোনিয়াকে ৫ লাশের সঙ্গে ফেলে রাখা হয়েছিল। হঠাৎ একজন দেখলেন সোনিয়ার শরীর নড়ছে । সেই দৃশ্যের কথা বললেন মামা আজির উদ্দিন।

জাতীয় একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “তুফানের সময় লাই ছিঁড়ে পড়েছিল মনে হয়, আর সাড়ে পাঁচটার দিকে কারেন্ট আসলে তারা সবাই মারা যান। আমরা প্রথমে ছয়জনকে মৃত মনে করে লাশ সারি করে রাখি।

‘আমাদের সঙ্গের একজন দেখেন সোনিয়ার শরীর লড়ে। তারপর নিয়ে হাসপাতালে আসার পর পাঁচ তলায় ভর্তি করাই। দুপুর ১টার দিকে আইসিইউতে আনা হইছে । দিনভর আইসিইউতে থাকার পর রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’

আজির উদ্দিনের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল তখনও জ্ঞান ফেরেনি সোনিয়ার।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের ভাঙ্গার পাড় এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সোনিয়ার পরিবারের সবাই নিহত হয়েছেন।

বারো বছরের কিশোরী সেনিয়া আক্তার এখনও জানে না তার পরিবারের সবাই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। আর কোনোদিন নিজের বাবা-মা, ভাই-বোনদের সঙ্গে তার দেখা হবে না।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোরে সেহরি খাওয়ার পর যখন সবাই বিশ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন সোনিয়াদের ঘরের উপর দিয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায়। তাতে ওই পরিবারের পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে এলাকাবাসী এসে আগুন নেভায় এবং তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধারণা, বজ্রপাতে বৈদ্যুতিক খুঁটির ইনসুলেটর ক্র্যাক হয়ে যায় এবং এ সময় আগুন ধরে গিয়ে তার ছিঁড়ে ঘরের চালে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- সোনিয়ার বাবা ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), তাদের মেয়ে সামিয়া (১৫), সাবিনা (৯) এবং ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭)।

একমাত্র সোনিয়াকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, “মেয়েটির দেহের ২৫ ভাগ পুড়ে গেছে। তাকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। সাধারণত এ ধরনের রোগীদের হৃদরোগের সমস্যা দেখা দেয়। সোনিয়ারও সেই সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাই তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।”

রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে সোনিয়াকে ঢাকায় পাঠানো হয় বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন