সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও প্রশাসনের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করায় মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের সহ অভিযুক্ত ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের দুগনই গ্রামের ১৫ থেকে ১৬ জেলে দলবদ্ধ হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়াও ওই জেলেরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে প্রশাসনের কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে।
গত সোমবার (১ এপ্রিল) বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের দুগনই গ্রামের সোমেশ্বরী নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার এ ঘটনায় জড়িত আসামী দুগনই গ্রামের গয়েছ আলীর ছেলে লাল মিয়া(৪২) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করে মধ্যনগর থানা পুলিশ।
সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও প্রশাসনের লোকদের উপর আক্রমণ করায় উপজেলার সদর ইউনিয়নে ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গোলাম ছারওয়ার বাদী হয়ে এজাহার ভূক্ত ৯জন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭ থেকে৮ জনকে আসামী করে মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই ঘটনায় এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামীরা হলেন, উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের দুগনই গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে মমিনুর রেজা জনি (২৭), একই গ্রামের আজি রহমানের ছেলে ইমদাদুল(৩৫), মফিজ আলী ছেলে সাধন(৩৪) ও হারিছ মিয়া(৫৫), আকি রহমানের ছেলে জাহিনুর(২৯), আল উদ্দিনের ছেলে আলাল মিয়া(৩৭), আলীমুদ্দিনের ছেলে মিনাল হক(৩০), আব্দুল মোতালিবের ছেলে মুজাহিদ(২২)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানতে পারেন, দুগনই গ্রামের সামনে সোমেশ্বরী নদীতে কিছু অসাধু জেলে চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। তৎক্ষনাৎ তিনি সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় ইউএনও’র নির্দেশে প্রশাসনের লোকেরা জেলেদের নিকট হতে চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করতে গেলে দুগনই গ্রামের মমিনুর রেজা জনি, ইমদাদুল ও হারিছ মিয়াসহ কতিপয় জেলেরা দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রশাসনের লোকদের উপরে আক্রমণ চালায়। এতে ঘটনাস্থলে প্রশাসনের ৪জন লোক আহত হয়। পরে ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা মধ্যনগর থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রনে এনে প্রশাসনের লোকদের উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী রঞ্জিত বিশ্বাস(২৮), পরিচ্ছন্ন কর্মী জাহাঙ্গীর আলম(৪৫), অফিস সহকারী নুরুল আমীন মোল্লা(৪৭) ও মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা(৪৮)।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার