নিউজ ডেস্ক :
ইরান-ইসরাইল।একে অপরের প্রতি চরম বৈরি দুই দেশ। সম্প্রতি ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইরান-ইসরাইল বৈরিতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, হামাসের প্রধান সহায়তাকারী হচ্ছে ইরান।
কিন্তু ইসরাইল যখন হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যুদ্ধ শুরু করেছে, তখন অনেকের মধ্যেই এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, এই যুদ্ধ হয়তো শেষ পর্যন্ত ইসরাইল-ইরান যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।
কিন্তু ইরান কি সত্যিই এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে? ইরান কেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে এতো সোচ্চার? আর দুই দেশের মধ্যে চরম বৈরি সম্পর্কই বা কেন তৈরি হলো?
ইরান-ইসরাইল এখন পরস্পরের শত্রু দেশ হলেও, অতীতে কিন্তু পরিস্থিতি এমনটা ছিল না।
জানলে হয়তো অনেকেই অবাক হবেন, একসময় এই ইরান এবং ইসরাইল ছিলো একে অপরের বন্ধু।
এমনকি ১৯৪৮ সালে যখন ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়, তখন তুরস্কের পর ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বিতীয় মুসলিম দেশ ছিল ইরান।ইসরাইলকে দেশটি এই স্বীকৃতি দেয় ১৯৫০ সালে।
ইসরাইল ইরানের অস্ত্র কর্মসূচিকে সবসময়ই হুমকি হিসেবে দেখে এসেছে। এমনকি ইসরাইল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা করার হুমকিও দিয়েছে একাধিকবার। যদিও ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি অস্ত্র বানানোর জন্য নয়, বরং শান্তিপূর্ণ।
কিন্তু সামরিকভাবে ইরানের চেয়ে শক্তিশালী এবং আমেরিকা-ইউরোপের সমর্থন সত্ত্বেও ইসরাইল কেন ইরানকে হুমকি মনে করে? ইরান কি আসলেই ইসরাইলের জন্য হুমকি?
মেইর লিটভ্যাক তেমনটাই মনে করেন। এর কারণ হিসেবে তিনি ইসরাইলের ছোট আয়তনের কথা বলছেন।
তিনি বলেন, দেখুন, ইরান ইসরাইলের চেয়ে আয়তনে অনেক বড়। এর জনসংখ্যাও ইসরাইলের দশ গুন বেশি। ফলে ইরানকে একটা যুদ্ধের মাধ্যমে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু একটা বড় যুদ্ধে অস্তিত্ব ধরে রাখার জন্য ইসরাইল বেশ ছোট দেশ। এর জনসংখ্যাও কম। এছাড়া ইসরাইলের মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম আছে, কিন্তু সেটা ইরানের সর্বাত্মক মিসাইল হামলা ঠেকানোর মতো নয়।
মেইর লিটভ্যাক বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ইরানের মতো একটা দেশ যখন ইসরাইলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার ঘোষণা দেয়, এবং সে দেশ যদি পরমাণু অস্ত্র বানিয়ে ফেলে তাহলে এই ভয় থাকবেই যে সে এটা কোন একদিন ব্যবহার করলেও করতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার