মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করার অপরাধে বাদী আমেনা বেগমকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় তাকে আরো ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে যা অনাদায়ে আরও ১ মাস সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
সোমবার বিকালে আসামি আমেনা বেগমের অনুপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল এই রায় ঘোষণা করেন।
জানাগেছে, আমেনা বেগম কাজের সুবাদে শিবালয় উপজেলার টেপড়া এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভূপাড়া গ্রামের মো. আরিফ হোসেনের স্ত্রী। ভুক্তভোগী শাহীনুজ্জামান বাবু শিবালয়ের শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজহারসূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ মে শাহীনুজ্জামান বাবুকে আসামি করে শিবালয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন আমেনা বেগম। এরপর ২০১৭ সালের ৯ জুন অভিযুক্ত শাহীনুজ্জামান বাবুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। চার মাস কারাভোগের পর শাহীনুজ্জামান জামিনে বের হন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা ও স্বাক্ষী না পেয়ে অভিযোগটি মিথ্যা বলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
একইসঙ্গে মামলার বাদী আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।
মামলায় ৫ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল আমেনা বেগমকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার