স্টাফ রিপোর্টার:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মতো এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তবে দলের হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্ত মানছেন না সিলেটের অনেক নেতা। জেলার অন্তত তিনটি উপজেলায় তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। ফলে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েই উপজেলার ভোটে থাকছে বিএনপি নেতারা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিলো আজ ২২ এপ্রিল। তবে শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি।
জানা গেছে, জেলার বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দিতাকারী ৭ বিএনপি নেতার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া গোয়াইনঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একজন ও জৈন্তাপুর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন নির্বাচন করছেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির যে চার নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গৌছ খান, তার চাচাতো ভাই যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য-প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. কাওছার খান ও খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব সরকার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম স্বপ্না শাহিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দ্বিতীয় ধপের নির্বাচনে গোয়াইনঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ (যুগ্ম সম্পাদক পদ মর্যাদা) ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম স্বপন নির্বাচন করছেন। এছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পলিনা রহমান নির্বাচন করছেন।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দলের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এর বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার