বিয়ানীবাজার সাংবাদদাতা:
২ মে বৃহস্পতিবার বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। আগামী ১৩মে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর ২৯শে মে এখানকার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন জমা দেয়ার প্রস্তুতি সারছেন বিয়ানীবাজারের ২৩জন প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরোও ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারেন।
প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেয়ার জন্য শেষ মূহুর্তের কার্যক্রম সম্পাদন করছেন। মনোনয়নপত্রের খুুঁটিনাটি যাচাইয়ের পাশাপাশি প্রস্তাবকারি ও সমর্থনকারি নিয়েও বৈঠক করছেন। বিয়ানীবাজারে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, সভাপতি আতাউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল বারী ও মোহাম্মদ জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের প্রভাষক মো: জহির উদ্দিন, লাউতার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো: জাকির হোসেন সুমন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে একমাত্র আওয়ামীলীগ ছাড়া বিএনপি, জামাতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, এলডিপি, সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জেএসডি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণফোরাম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপসহ আরও বেশ কয়েকটি দল অংশ নিচ্ছেনা। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান কিংবা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও তাদের দলীয় সমর্থক কোন প্রার্থী নেই। একটি সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান পদে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাকির হোসেন সুমন বিগত সময়ে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে মাথিউরায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন।
বিয়ানীবাজার সুজন’র সভাপতি এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন জানান, যেসব রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, সেসব দল ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি। সরকারের ঘনিষ্ঠ ও নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের প্রতি পক্ষপাত ছিল—এমন দলগুলোও অংশগ্রহণ করেনি।
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো: জয়নুল ইসলাম বলেন, প্রার্থী যত বেশী প্রতিদ্বন্ধিতা তত বেশী হবে। এখানে ভোটারদের কদর বাড়বে, নির্বাচনী চর্চার আকার বৃদ্ধি পাবে। তবে অতিরিক্ত প্রার্থী হলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশাসনকে নতুন করে ভাবতে হবে।
এদিকে প্রতীক ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে বিয়ানীবাজারে আওয়ামী লীগকে নানা সংকটে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, যখন থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করা শুরু হয়েছে, মূলত তখন থেকেই সংকট দানা বেঁধেছে। সেটা কাটিয়ে না উঠতেই আবার আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ায় সংকট না কমে বরং ঘনীভূত হবে।
অপরদিকে উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল হক রুনু, সায়দুল ইসলাম, লায়ন সুহেল আহমদ রাসেদ, সাবেক ফুটবলার জামাল আহমদ, উলামা মাশায়েখ মনোনিত মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জসিম উদ্দিন, পলাশ আফজাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খালেদুর রহমান প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা আক্তার, জেসমিন নাহার, রুমানা আফরোজ, জাহানারা বেগম সাদিয়া, সালমা রহমান, এড. শারমিন আক্তার নির্বাচনের জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার