স্টাফ রিপোর্টার:
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অংশ না নেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন বয়কট করে কেন? যখন সক্ষমতা না থাকে তখনই ভোটে অংশ নেয় না।
প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, উপযুক্ত ও যোগ্য নেতা নেই বলে তারা নির্বাচন বর্জন করে। দণ্ডিত আসামি, পলাতক আসামিকে নেতা হিসেবে জনগণের সামনে নিয়ে এলে তো জনগণ গ্রহণ করবে না। এ কারণে তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।
পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর অপশক্তি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে দিতে চেয়েছিল। শেখ রেহানার পাসপোর্টটা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হচ্ছিল না। তখন তো আমি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে ফিরে এসেছি, পালিয়ে থাকি নাই। তাদের তো সেই সৎ সাহস নেই, এ কারণে পালিয়ে বেড়ায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশে ফিরেছি, ভোট করে কয়েকবার জিতেছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই তো দেশের এতো উন্নয়ন। আগে বাংলাদেশকে বন্যার্ত, ক্ষুধার্ত ও গরিব দেশ হিসেবে বিশ্ববাসী চিনত। সেই দুর্নাম আমরা ঘুচাতে পেরেছি কিনা সেটিই মুখ্য বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও গণমুখী করা। এ কারণে আমরা নির্বাচন কমিশন আইন করে দিয়েছি, তাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। তাদের নিজস্ব বাজেট আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অবাধ নির্বাচন আমার ইচ্ছা ছিল, মানুষ যাকে চায় তাকে জিতে আসা উচিত। এ কারণে ভোটে দলের স্বতন্ত্রদের রাখা হয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার