সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোট, রেজি নং-বা: জা: ফে: ৩৮, সিলেট জেলা কমিটি গত গত ২০২৩ সালের ১৪ জুন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অনুমোদন লাভ করে। কিছুদিন পর থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ খারাপ ও অসাংগঠনিক আচরণ শুরু করে। কমিটির সভায়জেলার প্রতিটি থানা কমিটি ও উপকমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হলে সভাপতি তার নিজস্ব লোক নিয়ে প্রতিটি ইউনিটে কমিটি গঠন করা শুরু করেন। তার কমিটি গঠনের কোন তথ্য সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি, সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউকে জানানো হয়নি। সংগঠনের গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করে কেবল কোষাধ্যক্ষ আব্দুল আজিজকে নিয়ে বিভিন্ন থানায় কমিটি গঠন করেন এবং বড় অংকের টাকা বিভিন্ন স্থান থেকে হাতিয়ে নেন। ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হলেও সভাপতি-কোষাধ্যক্ষের যোগসাজেশে তহবিলে কোন টাকা জমা রাখা হয়নি।
সংগঠনের হিসাবমতে, বিভিন্ন শাখা ও উপ-শাখা থেকে তিনি ২০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করে নেন। গত ১৩মার্চ জৈন্তাপুর থানায় একজন সভায় বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। ২০মার্চ ২০২৪ইং তারিখে কার্যকরী সভায় আব্দুল কুদ্দুছকে সংগঠনের টাকার হিসাবের কথা জানালে সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করে টাকা দিবে না বলে তিনি চলে যান।
এই আক্রোশে কেন্দ্র কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সীল সাক্ষর এডিট করে জালিয়াতির মাধ্যমে বহিস্কার শুরু করে। কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় কমিটি এ বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান। গত ১০ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আব্দুল কুদ্দুছকে যতদিন পর্যন্ত আমাদের সংগঠনের টাকা তহবিলে জমা না রাখেন ততদিন পর্যন্ত সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইসাথে সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির আকিলকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।
১লা মে ২০২৪ইং জাতীয় মে দিবসের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বিভিন্ন থানা শাখা ও উপ-শাখা থেকে অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা মোট ২০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা সংগঠনের তহবিলে জমা না দেয়া পর্যন্ত আব্দুল কুদ্দুছকে স্বপদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার