স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট মহানগরে সড়কে শৃঙ্খলা নিয়ে আসতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে এলোপাতাড়ি গাড়ি চলাচল না করতে ও মোড় না নিতে স্থায়ী ডিভাইডারের পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে সাময়ীক বিভাজক (ডিভাইডার) বসিয়েছে পুলিশ। তবে বাঁশের এ ডিভাইডার কিছু স্থানে ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (২০ মে) এমনই চিত্র দেখা যায় মহানগরের ধোপাদিঘীরপাড়স্থ বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যানের সামনে।
দেখা যায়, সড়কে শৃঙ্খলার জন্য স্থায়ী ডিভাইডারের পাশে রাস্তার মাঝামাঝি ৩ ফুট উঁচু পাকা খুঁটির মধ্যে বাঁশ দিয়ে আরেকটি বিভাজক দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু ওই বাঁশের দুই মাথা বিপজ্জনকভাবে বের হয়ে আছে। এতে যানবাহনের চাকা বা বাম্পার লেগে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এমনকি রয়েছে প্রাণনাশের ঝুঁকিও।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মো. আব্দুল আহাদ জানান- কয়েকি দিন আগে তিনি এ রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। এসময় এই বিভাজকে বেরিয়ে থাকা চোখা (ধারালো) বাঁশের মাথায় গাড়ির বাম্বার লেগে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে যাচ্ছিলেন, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া পর্যটনের শহর সিলেটে সড়কে এভাবে বাঁশ দিয়ে বিভাজক দেওয়া দৃষ্টিকটু বলে মন্তব্য করছেন সচেতন নগরবাসী।
এ বিষয়ে এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) রাখী রানী দাস সোমবার বিকালে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলার জন্য আমাদের ট্রাফিক বিভাগ নানা উদ্যোগ নিয়ে থাকে। বাঁশও সেই লক্ষ্যে দেওয়া হয়েছে। তবে কোথাও সেটি ঝুঁকির কারণ হলে ঠিক করে দেওয়া হবে।
এদিকে, সিলেটে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে দু’দিনের বিশেষ অভিযানে নেমেছে এসএমপি’র পুলিশ। এসএমপি কমিশনারের নির্দেশে লাইসেন্স ও কাগজপত্রবিহীন গাড়ির মালিক-চালকদের বিরুদ্ধে সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে এ অভিযান। অভিযানকালে কাগজপত্র ঠিক না পেলে গাড়ির মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং যানবাহন র্যাকিং করছে এসএমপি’র ট্রাফিক পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কমিশনার মো. জাকির হোসনে খান (পিপিএম- সেবা) ট্রাফিক বিভাগের প্রতি ১৬ মে জারিকৃত এক আদেশে বলেন- ২০ ও ২১ মে (সোম-মঙ্গলবার) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ মহানগরজুড়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির কাগজপত্র, গাড়ির নম্বর, ফিটনেস, রুট পারমিট ব্যতীত গাড়ি চালনা, অতিরিক্ত যাত্রীবহন ও অবৈধ পার্কিং ইত্যাদির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে।
অভিযানকালে প্রয়োজনমাফিক প্রসিকিউশন দাখিল ও অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড উচ্ছেদ এবং অবৈধ অটোরিকশা গাড়ি আটক করার নির্দেশ প্রদান করেন এসএমপি কমিশনার।
মহানগর ঘুরে দেখা গেছে- বিভিন্ন পয়েন্টে সব ধরণের গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করছে ট্রাফিক পুলিশ। সব ঠিক থাকলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি, আর তা না হলে গাড়ির মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা। এছাড়া মোটরসাইকেলের হেলমেট ছাড়া চালকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হচ্ছে মামলা।
বিশেষ এই অভিযানে চন্ডিপুল, শাহপরাণ এলাকার সুরমা পয়েন্ট, তেমুখীসহ মহানগরের প্রবেশমুখগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার