কলকাতা প্রতিনিধি:
খুনের আগে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে যে গাড়িটি বহন করে সেই লাল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) রাতে লাল রঙের সেই গাড়িটি জব্দ করেছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার নিউ টাউনের অ্যাকুইটিকা কমপ্লেক্সের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এমপি ছাড়াও এক নারী ও দুই পুরুষ সঙ্গী ওই গাড়িতে ছিলেন।
এ ছাড়া বুধবার সকালে সাদা রঙের আরও একটি গাড়ি চালকসহ জব্দ করা হয়েছে। খুন হওয়ার পর এমপির লাশের টুকরো সেই গাড়িতে করে নেওয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দুটি গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা করছে কলকাতা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এমপি খুনের মামলা তদন্তে কলকাতা পুলিশের দুই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন। আজই তারা পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুনের তদন্ত নিয়ে বৈঠক করবেন। খুনের অগ্রগতি জানাতে দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির মহাপরিদর্শক অখিলেশ চতুর্বেদী এর আগে জানিয়েছিলেন, অ্যাকুইটিকা কমপ্লেক্সের গেটে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ১৩ মে এমপি আনার এক নারী ও দুই পুরুষের সঙ্গে ওই কমপ্লেক্সে প্রবেশ করছেন। প্রবেশের পর তাকে বের হতে দেখা যায়নি। ১৩ ও ১৫ মের মধ্যে ওই নারী এবং দুই পুরুষকে বাড়িটি থেকে একাধিকবার বের হতে দেখা গেছে। এর মধ্যে তাদের অন্তত দুজনকে বড় বড় ব্যাগ হাতে নিয়ে গাড়িতে উঠতে দেখা গেছে। ব্যাগ নিয়ে তারা যে গাড়িতে উঠেছিলেন, সেটা ছিল উবারের ভাড়া করা গাড়ি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই গাড়ির রং সাদা।
কলকাতা পুলিশ গাড়ির চালককে আটকের পর গত রাত থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তারা জানার চেষ্টা করছে, গাড়ি নিয়ে তারা কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন।
এমপি আনারের লাশ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই: ডিবিএমপি আনারের লাশ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই: ডিবি
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, কলকাতার নিউ টাউনের অ্যাকুইটিকা এলাকার এই ডুপ্লেক্স বাড়িতেই এমপি আনারকে হত্যা করা হয়। ওই বাড়ির মালিক রাজ্য শুল্ক বিভাগের কর্মচারী সঞ্জীব ঘোষ। তিনি মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানকে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন।
আখতারুজ্জামানই এই খুনের ‘মাস্টারমাইন্ড’। খুনের পর নারী সঙ্গীকে নিয়ে দুবাই পাড়ি দিয়েছেন। এর আগে বুধবার সকালে কলকাতা বিধাননগর, ব্যারাকপুর পুলিশ ও স্পেশাল টাস্কফোর্সের সদস্যরা বাড়িটিতে তল্লাশি চালান।
এদিকে কলকাতায় এমপির বন্ধু গোপাল বিশ্বাস সম্পর্কেও খোঁজ-খবর শুরু করেছে পুলিশ। এমপির দীর্ঘদিনের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরানগরের মণ্ডলপাড়া লেনের একটি বাড়িতে থাকেন। সেই বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। তার ছেলে ও স্ত্রী অন্য বাড়িতে থাকেন। তার এক ছেলে চিকিৎসক। গোপাল এলাকায় কারও সঙ্গে মিশতেন না বলে জানা গেছে।
ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পুলিশের দুই সদস্যঢাকায় আসছেন ভারতীয় পুলিশের দুই সদস্য
পুলিশ সূত্রের খবর, এই খুনের ঘটনা তদন্তের ক্ষেত্রে গোপাল বিশ্বাসের দিকেও নজর রাখছে গোয়েন্দা আধিকারিকেরা। গোপালও কোনোভাবে সন্দেহের তালিকার বাইরে নন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার