স্টাফ রিপোর্টার:
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। এতে দেখা যায়, ভারতীয় সময় ১৪ মে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে দুই ব্যক্তি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাদের একজনের কাছে একটি বড় স্যুটকেস রয়েছে, অন্যজনের কাছে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগ রয়েছে।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী আগেই কলকাতার নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় অপরাধীরা। গত ১৩ মে ফ্ল্যাটটিতে প্রবেশ করেন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারসহ ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া শিমুল। ছিলেন ফয়সাল নামে একজনও, যাকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে ১৪ মে বিকালে দেখা যায় একটি বড় লাগেজ নিয়ে বের হচ্ছেন শিমুল।
ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাট থেকে যে দুজন বের হয়েছেন তারা হলেন- শিমুল ভূঁইয়া ওরফে সৈয়দ আমানুল্লাহ ও সিয়াম ওরফে কসাই জিহাদ। সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেছে তা স্বীকারও করেছেন ডিবির হাতে গ্রেফতার আমানুল্লাহ। অন্যদিকে ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কসাই জিহাদ।
সংসদ সদস্য হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হাওলাদার জানিয়েছেন, কীভাবে এমপি আনারকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার পর হাত-পাসহ শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা করা হয়। যেন কোনোভাবেই আনারের চেহারা দেখে কেউ পরিচয় শনাক্ত করতে না পারে, সেজন্যই খুনিরা এ পরিকল্পনা করে। এরপর ট্রলি ও ব্যাগে করে খণ্ড খণ্ড লাশ বের করে নেওয়া হয়।
জিহাদ হাওলাদার বলেন, তাকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান সংসদ সদস্যের চামড়া কাটার জন্য এনেছিলেন। যেহেতু তিনি কসাই তাই এ কাজে তিনি দক্ষ ছিলেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির একজন কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, এমপি আনারকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা শুনে তারা নিজেরাই আঁতকে উঠেন। তার পুলিশি ক্যারিয়ারে অনেক খুনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন, কিন্তু এত নৃশংস বর্ণনা কখনোই শোনেননি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার