এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন:
সাবেক পুলিশের কথিত (মা-বাপ) মহাপরিদর্শক মহোদয় বাঘের বাচ্ছা। এক হুমকিতেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ ও দুনীতি দমণ কমিশনের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দেখে মনে হচ্ছে, ছাগলের ৩ নং বাচ্ছারা ভয়ে থর থর করে কাপছেন। পরিবারের পক্ষে থেকে বলা হচ্ছে, এই বাঘের বাচ্ছার ছোবল থেকে আমাগো কথিত কর্মকর্তাদের বাঁচাও বাঁচাও। ভয়ংকর হুমকি। তাহার ছোবল থেকে পদত্যাগ করে ওতো শেষ রক্ষা হবে না। কারণ তাহার বাড়ী বাংলাদেশের নাড়ী ভূড়ি খ্যাত গোপালগঞ্জ অঞ্চলে। তাহার দাপটে বহু পরিবার নিঃস্ব, স্বজন হারা । হত্যা, গুম, অপহরন এমনকি ক্রসফায়ারের শিকার হতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি তাহার জবানায় শুরু। ক্ষমতার দাপটে আওয়ামী বিচার লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাহার নির্দেশে পুলিশ প্রশাসনকে চার্জশীট দিতে হত। বিচারলীগ তা বাস্তবায়ন করে থাকে মাত্র। তাহার দাপট এতই প্রভাবশালী ছিল, তাহার নির্দেশে প্রতিটি থানায় সরকার প্রধানের ছবির সাথে সংবিধান লঙ্গন করে তাহার ছবি টাঙ্গাঁনো বাধ্যতামূলক। কিছুদিন পূর্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয়ের অফিসে দেখলাম, কি সুন্দর করে, বেনজির ও তাহার কথিত সাংগ পাংগদের ছবি টাঙ্গাঁনো। পূর্বে জানতাম, প্রত্যেক অফিসে সরকার প্রধান ও তাহাদের নেতার ছবি টাঙ্গানো বাধ্যতামূলক। বেনজির আহমদের কাছে সরকার কি এতই অসহায়। বেনজির আহমদের দুর্নিতি কালের কন্ঠে প্রকাশিত হয়েছে মাত্র ২৬০০ কোটি টাকা। ১ম, ২য়, ৩য় কিস্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে হাজার হাজার কোটি টাকা হতে পারে। এত উন্নত রাষ্ট্রের জন্য এ টাকা কিন্ত অতি নগন্য। সরকার কিন্ত দুর্নিতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। এ জিরো টলারেন্স অবস্থান হবে জাতীয় সংসদ ৫ বারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি। বেগম জিয়া দুর্নিতি করেছেন, গরিবের হক মেরেছেন। এটা কিন্ত মেনে নেওয়া যায় না। ২ কোটি টাকা হউক আর ১ কোটি টাকা হউক, দুর্নিতি তো দুর্নিতিই। যদিও যথাযথ ভাবে স্থানান্তর হয় নাই। ব্যাংকে এখনো এই টাকা গচ্ছিত। ব্যাংকে সুদে আসলে প্রায় ৬ কোটি টাকা হয়েছে। দুর্নিতি দমন কমিশনের কথা হল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্থানান্তরে ভূল করবেন, কেন? এ ভূল তো মেনে নেওয়া যায় না। নোবেল জয়ী ডঃ ইউনুছ সুদ খোর। যদিও এই সুদের টাকা থেকে রাষ্ট্রের প্রতিটি কর্মচারীর বেতন ভাতা হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গন নোবেল জয়ী ডঃ ইউনুছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু দুদক কর্মকর্তারা, অত্যন্ত সচেতন। অন্তত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে কিন্তু কোন ধরনের অন্যায় বা দুর্নিতি করা চলবে না। কারন সরকার দুর্নিতির ব্যাপারে আপোষহীন।
বে-নজির আহমদ দেশের সর্বোচ্ছ লাইসেন্স ধারী সন্ত্রাসী হিসাবে ২০১৮ সালের নির্বাচন কিভাবে করতে হয়, তা কিন্ত দেখিয়ে দিয়েছেন। দিনের ভোট রাতে করিয়েছেন। অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের খুশী আর রাজি রাখতে ভূরি ভোজ ও খাম প্রথা চালু করেছেন। এটা কিন্তু বাষ্ট্রের বৃহত্তর কল্যানে করা হয়েছে। নিজের স্বার্থে তো আর কিছু করেননি। সরকার তাহার কাজে সস্তুষ্ট হয়ে অবসর গ্রহনের পর ও বাড়তি নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন, যা অতীতে কখনও ছিল না।
কি কারনে কালের কন্ঠ ২৬০০ বা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় কিস্তি……………. প্রকাশ করতে যাবে? দুর্নিতি দমন কমিশন বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের কেন বিপদে ফেলতে যাবেন? বাঘের বাচ্ছা বে-নজির আহমদের এক ধমকে লেজ সোজা করে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। কাপুরুষদের প্রতি পরামর্শ থাকবে, এক সাথে সবাই পদত্যাগ করে দেখিয়ে দিন, আমরাও যেহেতু দুর্নিতিবাজ প্রতিষ্টানে চাকরি করি, সেহেতু সেই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে আমরাও এক সাথে পদত্যাগ করিলাম। তখন প্রতিষ্টানটি বিলুপ্ত হয়ে গেলে দুর্নিতি বা দুর্নিতির তদন্তের সুযোগ থাকবে না। তখন দেখবেন বে-নজির আহমদ ও আপনাদের দুর্নিতির সমালোচনা বন্ধ হয়ে যাবে। দেশবাসীর কাছে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার সুবর্ণ সুযোগ গহণ করুন। দুর্নিতি দমন কমিশন বা পুলিশ প্রশাসনের ¯েøাগান আইনের উর্ধে কেহ নহে ? সে যেই হউক না কেন? মুখোশধারী শয়তানের ¯েøাগান বৃথা যাবে না, যাওয়ার সম্ভাবনা ও নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেলাম, সরকারের প্রত্যক্ষ ও প্ররোক্ষ মদদে এ কুখ্যাত সন্ত্রাসী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। কারণ দেশে থাকলে সংশ্লিষ্ট বিভিগে ইন্টারভিউয়ের সময় অনেক রাঘব বোয়ালদের নাম বলে ফেলতে পারেন।
উল্লেখ থাকা প্রয়োজন, সরকার মহোদয়ের নির্দেশে প্রত্যেক থানা থেকে শীর্ষ দূনীতিবাজ ও সন্ত্রাসী বে-নজির আহমদ এর ছবিটি অচিরেই প্রত্যাহারের নির্দেশনা জারি করা হউক।
লেখক: সভাপতি- সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার, সিলেট।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার