Daily Jalalabadi

  সিলেট     রবিবার, ১৭ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতের বৃষ্টিতে নগরীতে আরও ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দী

admin

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪ | ০৩:৫০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪ | ০৩:৫০ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
রাতের বৃষ্টিতে নগরীতে আরও ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার:
রোববার রাতের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকা। এসব এলাকার বিদ্যুৎ, পানি ও খাবারের সংকট তৈরি হয়েছে।

এতে নতুন করে ৬ হাজার পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। পূর্বে এ সংখ্যাটি ছিল ৪ হাজার। সবমিলিয়ে এখন ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।

জানা যায়, রোববার রাত ও সোমবার সকালে ২৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে নগরের উপশহর, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, তেরোরতন, সাদারপাড়, সোবহানীঘাট, যতরপুর, কুশিঘাট, তালতলা, জামতলা, মণিপুরি রাজবাড়ি, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, পায়রা, দরগামহল্লা, মুন্সীপাড়া, হাওয়াপাড়া, নাইওরপুল, সোনারপাড়া, বালুচর, মীরের ময়দান, কাষ্টঘর, পুলিশ লাইনস, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘিরপার, খাসদবির, কলাপাড়া, মজুমদারপাড়া, লালদিঘিরপার ও মেজরটিলা এলাকা মধ্যরাতের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

এতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নগরীর মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সোমবার বেলা ১২টার তথ্যমতে, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কুশিয়ারার অমলসিদ পয়েন্টে ১২টায় বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।

এদিকে, সিলেট নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা আমির আলী জানান, তারা বাসার নিচের হাঁটু পর্যন্ত পানি। কোনো ঘরের মধ্যে বিদ্যুত নেই, গ্যাস নেই, খাবার নেই। কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে না।’

আরেকজন বাসিন্দা জানান, রাত থেকে বাসায় পানি ঢুকা শুরু হয়। রাতে ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে চৌকির উপরে ছিলাম। গত কয়েকদিন ধরেই উপশহরের সড়কগুলোতে পানি রয়েছে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদেরকে। বৃষ্টি হলেই যেন দুর্ভোগ নেমে আসছে।’

উপশহরে একজন বাসিন্দা বলেন, ‘বন্য পরবর্তী মানুষের যে দুর্ভোগ নিরসনের জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তশালীদেরকে এগিয়ে আসা উচিত। উপশহরের সবচেয়ে বড় সংকট একন খাবার পানির। দোকানপাট বন্ধথাকায় বাজার করতে অসুবিধা হচ্ছে।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, নতুন করে আরও ৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলররা খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন