জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট সংবাদদাতা:
সিলেটে দুইটি উপজেলায় আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন জাগছে, এই উপজেলার লাখো মানুষ এখনও পানিবন্দী, এই পরিস্থিতি কি ভোট হবে?
তবে গতকাল মঙ্গলবার জকিগঞ্জের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফসানা তাসলিম বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী সামনে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই ভোট গ্রহণের বিষয়টি নির্দিষ্ট তারিখেই শেষ করার উদ্দেশ্যে কাজ চলছে।
সিলেট জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জানান, যথাসময়েই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে জকিগঞ্জ উপজেলার ৫টি কেন্দ্র এবং কানাইঘাট উপজেলার ৪টি কেন্দ্র বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বিকল্প কেন্দ্রের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। বিকল্প কেন্দ্রগুলোকে কমিশন অনুমোদন দিলে প্লাবিত কেন্দ্রগুলোর বদলে নতুনগুলোতে ভোট নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনসূত্রে জানা যায়, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। এর মধ্যে জকিগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া কানাইঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যন পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন নির্বাচন করছেন।
এদিকে, গতকাল জেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জকিগঞ্জের নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং কানাইঘাটের আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বন্যাকবলিত। জকিগঞ্জে ১১০টি এবং কানাইঘাটে ১৯০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া জকিগঞ্জে ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৮ জন এবং কানাইঘাটে ৮০ হাজার ৬০০ জন বন্যায় কবলিত।
সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান গণমাধ্যমে বলেন, ‘দুটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। তাই বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমনটা ধরে নিয়েই সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার