স্টাফ রিপোর্টার:
ঘটনাটি মাসখানেক আগের। বিষয়টি এতদিন নিজেদের মধ্যে গোপনই রেখেছিলেন সিলেট মহানগরের লালদিঘীর পাড়ে পুনর্বাসিত হওয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা হকাররা। বিষয়টি সামনে আসে গত ৯ জুন নিজেদের দুই গ্রুপে বিবাদ সৃষ্টি হওয়ায়।
হকারদের এক পক্ষের অভিযোগ- সিলেট হকার্স ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রকিব আলী ওরফে আব্দুর রকিব মাসখানেক আগে একটি মরা গরু কেটে এর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মার গিয়েছিলো।
তবে রকিব গরুটি মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কে বা কারা কেটে বিক্রি করেছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
সিলেটকে পরিচ্ছন্ন মহানগর হিসেবে গড়তে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঈদুল ফিতরের আগে ফুটপাত-রাস্তা থেকে ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের (হকার) নতুন করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ঈদের আগেই হকারদের সেখানে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে বসার জায়গা নিয়ে মাঝে-মধ্যে নিজেদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। গত ৯ জুনও এভাবে বিষয়টি নিয়ে হকারদের দুপক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে, ওই দিন দেওয়া বক্তব্যে হকারদের একটি পক্ষ দোকানকোটা দখলবাণিজ্য ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ তুলেন তাদের নেতা রকিবের বিরুদ্ধে। হকাররা বলেন- রকিবের যন্ত্রণায় তারা অতীষ্ট। এছাড়া মাসখানেক আগে লালদিঘীর পাড়ে ডিপ টিউবয়েল বসানোর কাজ করার সময় সেখানে বেঁধে রাখা একটি গরু বৈদ্যুতিক শর্ট খেয়ে মারা যায়। ঘটনার পর গরুটি ফেলে দেওয়া হলেও সেটি ‘বেঁচে আছে’ দাবী করে লোকজন দিয়ে কেটে এর মাংস বিক্রি করেন রকিব।
গরু মারা যাওয়ার বিষয়টি কাছে স্বীকার করেছেন হকার্স নেতা আব্দুর রকিব। তিনি বলেন- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গরুটি মারা যাওয়ার পর আমরা ডুমকে খবর দিয়ে নিয়ে এসে মরা সমঝিয়ে দিয়েছি। তারা সেটি নিয়ে গিয়ে কী করেছে সেটি আমি জানি না।
এদিকে, এ বিষয়ে পাল্টাপাল্টি ভিডিও বক্তব্য ফেসবুক পেইজে প্রচার করা হলে সচেতন সিলেটবাসী কমেন্টের মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তাদের দাবি- যদি সত্যি মরার গরুর মাংস কেটে খাওয়া হয় তবে সিলেটে এমন ঘৃণ্যকর ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন- তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার