অনলাইন ডেস্ক:
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ছাড়া পেয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পর যুক্তরাজ্য তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বীকার করলে তিনি মুক্তি পান।
৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
অ্যাসাঞ্জ গত পাঁচ বছর ব্রিটিশ কারাগারে কাটিয়েছেন, যেখান থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, অ্যাসাঞ্জকে আর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কারাগারে থাকতে হবে না এবং যুক্তরাজ্যের কারাগারে কাটানো সময়কেই তার কারাবাসের সময় হিসেবে ধরা হবে।
বিচার বিভাগীয় এক চিঠিতে বলা হয়েছে, অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাবেন।
সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্ম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে উইকিলিকস জানিয়েছে, ১ হাজার ৯০১ দিন ছোট একটি সেলে বন্দি থাকার পর সোমবার বেলমার্শ কারাগার থেকে বের হন অ্যাসাঞ্জ। এরপর বিকেলে তিনি স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে যান, যেখানে তিনি একটি উড়োজাহাজে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন।
উইকিলিকসের অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, জিন্স প্যান্ট ও নীল শার্ট পরিহিত অ্যাসাঞ্জকে বিমানে ওঠার আগে স্ট্যানস্টেডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ এক এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে অ্যাসাঞ্জের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
যে চুক্তি অনুযায়ী অ্যাসাঞ্জ ছাড়া পেলেন, সেটি আগামী ২৬ জুন বুধবার উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের একটি আদালতে চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপপুঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার কাছেই।
গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধ বিবেচনা করছেন তিনি।
পরের মাসে, যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালত রায় দিয়েছিল যে অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে একটি নতুন আপিল আনতে পারেন।
২০১০ সালে অ্যাসাঞ্জের প্রতিষ্ঠিত উইকিলিকস ওয়েবসাইটটি মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার থেকে তোলা একটি ভিডিও প্রকাশ করে যাতে দেখা যায় বাগদাদে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকসহ এক ডজনেরও বেশি ইরাকি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
অ্যাসাঞ্জের অন্যতম পরিচিত সহযোগী, মার্কিন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিংকে ৩৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৭ সালে তার সাজা কমানো হয়।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার