জবি প্রতিনিধি:
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ও চার দফা দাবি বাস্তবায়নে রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে একটি মিছিল নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাঁতিবাজার মোড়ে পৌঁছে। সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা কোটাবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় গুলিস্তান থেকে বাবুবাজার ব্রিজ ও সদরঘাটগামী এবং সদরঘাট ও বাবুবাজার ব্রিজ থেকে গুলিস্তানগামী সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘জেগেছে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আঠারোর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘কোটা প্রথা নিপাত চাই, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মেধাবীরা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’- এমন শ্লোগান দিচ্ছেন।
আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কবি নজরুল কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সানাউল্লাহ সাজিদ নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন ২০১৮ সালে সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলেও আবার ওইটা চালু করেছে। পহেলা জুলাই থেকে আমরা লাগাতার আন্দোলন করছি, দাবি মানা না হলে এ আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়েছেন, সেগুলো হলো:
এক. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
দুই. ‘১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
তিন. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। চার. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার