আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচার সভায় গুলিতে আহত হওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর মুখ খুলেছেন তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। খোলা চিঠিতে আমেরিকারবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি লিখেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের মেরামত করা প্রয়োজন। ভালবাসার প্রতি আরও জোর দিতে হবে আমাদের।
নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন মেলানিয়া। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমাদের মনে রাখা উচিৎ মতামতের ভিন্নতা, নীতি, রাজনৈতিক খেলা কোনওটিই ভালবাসার ঊর্ধ্বে নয়।
তিনি লিখেছেন, ডোনাল্ডকে যখন গুলির আঘাতে পড়ে যেতে দেখছি তখন অনুভূতি হলো, আমার এবং ব্যারনের জীবনে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।
বন্দুকধারীর গুলিতে ট্রাম্প আহত হলেও মারা গেছেন সভায় উপস্থিত এক ব্যক্তি। আরও একজন আহত হয়েছেন। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মেলানিয়া লিখেছেন, যে সকল পরিবার এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের জন্য ভুগছেন তাদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।
নিজের বিবৃতিতে হামলাকারী টমাস ক্রুককে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মেলানিয়া। টমাসকে ‘অমানুষ’ বলেছেন তিনি। সব শেষে মেলানিয়া লিখেছেন, আমরা সকলেই এমন একটি পৃথিবী চাই যেখানে সম্মান সর্বাগ্রে, পরিবার সবার প্রথমে থাকবে এবং ভালবাসায় ভরা। পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করছে। যারা এই খারাপ সময়ে আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন, রাজনৈতিক গণ্ডি পেরিয়ে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ।
শনিবার পেনসিলভেনিয়ার বাটলারের একটি সভায় গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার কথা শোনার জন্য প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। মঞ্চে উঠে কথা বলতে শুরু করেন ট্রাম্প। সেই সময়ই তার উপর হামলা হয়। দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান দিকের কানের পাশ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। তার মুখেও রক্ত দেখা যায়। তিনি হাত দিয়ে কান চেপে ধরেন। সভায় উপস্থিত বাকিরাও নিচু হয়ে বসে পড়েন। দ্রুত সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নিয়ে যান তার নিরাপত্তারক্ষীরা।
হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নিহত। সভায় উপস্থিত এক দর্শকেরও মৃত্যু হয়েছে। আরও দুজন জখম।
এফবিআই পরে জানায়, বন্দুকধারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুক। তার বয়স ২০ বছর। পুলিশ এবং রক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার