স্টাফ রিপোর্টার:
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে দুদককে অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে বলেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
অনুসন্ধানে দুদক বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য এবং কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে তাদের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে গত রোববার অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে ৪৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
আদালতে দুদকের প্রতিবেদন তুলে ধরে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান নিয়ে দুদকের কাছে অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। আদালত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে দুদককে অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে বলেছেন।
আগামী ৫ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ফের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। আর অভিযোগের প্রমাণ মিললে দুদককে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রিটকারী ও রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতের এই আদেশ নিশ্চিত করেন।
গত ৪ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান। এতে কাজ না হওয়ায় ১৮ এপ্রিল তিনি বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন। নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে স্বউদ্যোগে অনুসন্ধানের অনুরোধ করা হয়। সাড়া না পেয়ে ২১ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে তিনি বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার