স্টাফ রিপোর্টার:
দুবাই আজমান শহরে গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ৫ রেমিট্যান্স যোদ্ধার লাশ নবাবগঞ্জ উপজেলার একই গ্রাম বালেঙ্গা ৪ জনের লাশ দোহার বাজারে ১ জনের লাশ পৌঁছলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাদের নিজ নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা গ্রামে লাশের অপেক্ষায় শত শত মানুষের ভিড়। ৪ জনের লাশবাহী ৪টি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেখামাত্র মানুষের চোখে মুখে কান্নার প্রতিধ্বনিতে এই এলাকার পরিবেশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। সারা এলাকায় এক বিষাদের ছায়া নেমে আসে। দোহার বাজারে একই দৃশ্য দেখা যায়।
তাদের লাশ শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় বেলা ৩টায়। এই সময় নিহতের স্বজনরা কান্নায় মূর্চ্ছা যায়। সারা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
লাশের কফিনের পাশে বসেই ইবাদুলের মা নাজমা বেগম সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। ছেলের চেহারা যেন চিনতেই পারছে না। আহাজারি করে বলেন, আমার জাদুর এ হাল কেন? বাবা শেখ ইব্রাহীম লাশের দিকে তাকিয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে আছে। এমন দৃশ্য উপস্থিত সবাইকেই আবেগাপ্লুত করেছে।
৭ জুলাই দুবাই আজমান শহরে গাড়ি বিস্ফোরিত হওয়ার ঘটনায় নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মো. রানা (৩০), আবদুল হাকিমের ছেলে মো. রাশেদ (৩২), শেখ ইরশাদের ছেলে মো. রাজু (২৪), শেখ ইব্রাহিমের ছেলে ইবাদুল ইসলাম (৩৪) ও দোহার বাজার এলাকার মো. মঞ্জুরের ছেলে মো. হীরা মিয়া (২২)। পাঁচজনই একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার