Daily Jalalabadi

  সিলেট     শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের গুলিতে ঢাকায় নিহত : ১১ দিন পর বাড়িতে আনা হলো আয়াতুল্লার লাশ

admin

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪ | ০২:২২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪ | ০২:২২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
পুলিশের গুলিতে ঢাকায় নিহত : ১১ দিন পর বাড়িতে আনা হলো আয়াতুল্লার লাশ

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা:
গত ৫ আগস্ট লংমার্চ টু টাকার মিছিলে আনছাড়ের গুলাগুলিতে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ ১১ দিন পর পৌঁছে দেয়া হলো গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের জলুষায়।

১৬ আগস্ট রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মর্গে মাদ্রাসা ছাত্র আয়াতুল্লাহ (২০)-এর লাশের সন্ধান পাওয়ার পর ১৭ আগস্ট মধ্যরাতে লাশবাহি এম্বুল্যান্সে করে স্বজনদের কাছে পৌঁছেদেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

মাদ্রাসা ছাত্র আয়াতুল্লাহ মরদেহ গ্রামে বাড়ি পৌছার পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যে পরিণত হয়। শোকের ছায়া নেমে আসছে স্বজনদের মধ্যে। মা,বোন ও পরিবারের সদস্যদে আহাজারিতে ভারি হয় চারপাশের পরিবেশ। রাতেই আয়াতুল্লাহ পারিবারিক কবরস্থান দাফন করেন গ্রামবাসী।

প্রসঙ্গত: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল সময়ে নিয়মিত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতেন আয়াতুল্লাহ। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর তার বড় ভাই সোহাগ মিয়ার সঙ্গে গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমির দিকে যায় আয়াতুল্লাহ।মিছিলটি আনসার ভিডিপি একাডেমির সামনে যাওয়া মাত্রই মিছিলের উপর গুলিবর্ষণ করে আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এতে করে মিছিলে অংশ নেওয়া অনেক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।মিছিলে অংশ নেওয়া সোহাগ মিয়া হারিয়ে পেলে তার ভাই আয়াতুল্লাহকে। এর পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি আয়াতুল্লাহর। গাজীপুর ও রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতাল মর্গসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি তার। নিখোঁজের দীর্ঘ ১১ দিন পর শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে খোঁজ মেলে আয়াতুল্লাহর মরদেহের।

আয়াতুল্লাহ সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের জলুষা গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে।সে তার বড় ভাই সোহাগের সঙ্গে কালিয়াকৈরের জামতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকত। আয়াতুল্লাহ কালিয়াকৈরের ভান্নারা বাজার এলাকায় মাখলাজুল ইমান নামে একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করার পাশাপাশি একটি টেক্সটাইল মিলে কাজ করত।

আয়াতুল্লাহর বড় ভাই সোহাগ মিয়া বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন হওয়ার পর আনন্দ মিছিলে গিয়ে আনসার বাহিনীর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হয় আয়াতুল্লাহ।বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে আয়াতুল্লাহ’র লাশের সন্ধান মিলেছে। তিনি ও তার পরিবার আয়াতুল্লাহর হত্যার বিচার দাবি করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন