হবিগঞ্জ সংবাদদাতা:
হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোস্তাক আহমেদ নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা ও কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মো. আবু জাহিরকে প্রধান আসামি করে ১১১ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ শহরতলীর উমেদনগর এলাকার এসএম মামুন মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। মামুন ওই গ্রামের লুৎফুর রহমান নানুর ছেলে। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে রাখা হয়েছে আরো ১৫০ জনকে।
মামলায় জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নেওয়াজ, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খানসহ ১১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২ আগষ্ট বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা শহরের তিন কোনা পুকুরপাড় এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আবু জাহির ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর প্ররোচনা ও উস্কানিতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লাঠি সোটা ও অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতারা গুলি ছুড়লে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। এতে হবিগঞ্জ পিডিবি’র অস্থায়ী লাইনম্যান ও সিলেট জেলার টুকের বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে মোস্তাক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষে মোশাহিদ মিয়া, মজিদ মিয়া, সোহাগ মিয়াসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।
হবিগঞ্জ সদর মডল থানার (ওসি) নুরে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার