Daily Jalalabadi

  সিলেট     শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“অন্তবর্তী সরকার ২০২৪ এর শুভ কামনা’’

admin

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪ | ০৭:৩৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৪ | ০৭:৩৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
“অন্তবর্তী সরকার ২০২৪ এর শুভ কামনা’’

এডভোকেট মোঃ আমান উদ্দিন:
ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী)। চট্রগ্রামের জুবলি গ্রামে জন্ম। শিক্ষাকার্যক্রমের অগ্রদূত। বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাহার লেকচারগুলো অন্তভূক্ত করে থাকেন পাঠ্যপুস্তকে যাহা পরবর্তী জেনারেশনকে শিখানোর জন্য। সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহার থিওরীগুলো পড়ানো হয়। ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনুস সেন্টার প্রতিষ্টা করা হইয়াছে। তাহার পদক সমূহ বিশ্বমানের। যেমনঃ নোভেল পুরুস্কার বা সমমানের ১০০ টি পুরুস্কার ইতিমধ্যে অর্জন করিয়াছেন। শুধু বাংলাদেশ নহে, বিশ্বের পরশক্তি বা নামীদামী দেশ তাহার সম্মানে পুরুস্কার দিয়ে থাকে। গ্রামীন ব্যাংক ও গ্রামীন টেলিকম উভয়ই সামাজিক ব্যবসা। প্রান্তিক জনগোষ্টীকে স্বাবলম্ভী করে গড়ে তোলাই তাহার মূখ্য উদ্দেশ্য। গ্রামীন ব্যাংক থেকে প্রতিকী বেতন ৩০০ ডলার নিয়ে থাকেন। এসব প্রতিষ্টানে তাহার কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চার কিছুই নেই। বিশ্বের ২/৩জন Paid able বক্তার মধ্যে তিনি অনন্য। একটি বক্তব্য দিলে সম্মানী হিসাবে ২-৩ লক্ষ ডলার সে দেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সরকারী ভাবে তাহাকে প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের সাধারণ জনগন ভাগ্যবান। তাহার মত ব্যক্তিকে অন্তবর্তী সরকার প্রধান করার সুযোগ পেয়ে ধন্য। যাহা স্বাধীনতার ৫৪ বৎসরের ইতিহাসে হয়নি। প্রজন্ম দেখেছে হরতাল, অবরোধ, প্রানহানী ইত্যাদির ধুংশযজ্ঞ। এসব কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রান দিয়েছেন সাধারণ পরিবারের সন্তান। কোন নেতার ছেলে শহীদ হয়েছেন আমার জানা নেই। ২০২৪ সালে সরকারের নিকট দাবী আর যেন কোনদিন দাবী আদায় করতে গিয়ে একজন মায়ের বুক খালি না হয়। এক ঝাক নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কাহার ও যোগ্যতার নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। সুতরাং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বলব, বাংলাদেশে পুঞ্জিভূত আবর্জন দূর করতে হলে এ সরকারকে সময় দিতেই হবে। তাহারা কিন্তু কোন ব্যক্তি বিশেষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আসে নাই। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্টান সমূহকে সংস্কার করতেই হবে। দলীয় সরকারের অধীনে এ সংস্কার এর গ্রহন যোগ্যতা থাকবে না। আমজনতা উপকৃত হবে। উপদেষ্টাদের বন্যাঢ্য জীবন আছে। যেমনটি বলা যায় (১) সালেহ উদ্দিন আহমদ, গবর্নর (অবঃ) বাংলাদেশ ব্যাংক, (২) ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদালয়, (৩) ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ, (৪) এডভোকেট আরিফ হাসান, (সাবেক এটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট), (৫) এডভোকেট সৈয়দা রেজওয়ানা হাছান (সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন, (বেলা) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর), (৬) ড. শাখাওয়াত হোসেন, (সাবেক নির্বাচন কমিশনার), (৭) আলী ইমাম মজুমদার, (সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব), (৮) মোঃ তৌহিদ হোসেন, (সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব), (৯) মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, (সাবেক সচিব), (১০) ড. আদিলুর রহমান খান, (মানবাধীকার কর্মী), (১১) ল্যাঃ জেনারেল (অবঃ) জাহাঙ্গীর আলম (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী), (১২) ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন, অধ্যাপক, (১৩) বিধান রঞ্জন রায়, (১৪) সুপ্রদীপ চাকমা, (১৫) নারী নেত্রী শারমিন মোর্শেদ, (১৬) নুরজানান বেগম, (মানবাধীকার কর্মী), (১৭) ফরিদা আখতার, (১৮) ফারুক-ই- আজম, (১৯) নাহিদ ইসলাম, (২০) আসিফ মাহমুদ। (১-২১) জন উপদেষ্টাকে নিয়ে সাধারণ জনগনের কোন প্রশ্ন নেই। এরা প্রত্যেকে স্ব-স্ব মহিমায় আলোকিত। * নাহিদ ইসলাম *আসিফ মাহমুদ বয়সে তরুন। ২০২৪ সনের গন অভ্যূত্থনের মহানায়ক। বর্তমান প্রজন্মের আইডল। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের স্পন্দন। তাহাদের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মানুষকে বন্দিদশা থেকে মুক্তি করেছেন। জনগনকে বাক স্বাধীনতা, মিছিল মিটিংয়ের অধিকার দিয়েছেন। সচিব বা সিনিয়র-জুনিয়র ইত্যাদি ট্রল না করে, খোলা মনে তাহাদেরকে সহযোগীতা করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, মূর্খদের নেতা মেনে গোলামী করেছেন। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, “মানুষ বাঁচে কর্মের মাধ্যে, বয়সের মধ্যে নহে”। প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস স্যারের নিকট আমজনতা বা সুশীল সমাজের দাবী করিতেছেন উপদেষ্টাদের তালিকায় ২টি নাম সংযুক্ত করলে কাজের গতি প্রকৃতি বৃদ্দি পাবে ।
প্রস্তাবিত নাম সমূহ:
* ড. বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্টদূত বার্নিকাট আপ্যায়ন কালে আহত হয়েছেন।
* ড. শাহদিন মালিক (আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পূর্ণ আইনজীবি ও সংবিধান বিশেষেজ্ঞ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট)।
শেষ কথা: ঘোষখোর, দূর্নিতিবাজ ইত্যাদি গুনাবলী সম্পূর্ণ অমানুষদের দ্বারা বিদেশে পাঠানো টাকা এক মাত্র অন্তবর্তী সরকারের যোগ্য নেতৃত্বে ফেরৎ আনা সম্ভব। এ টাকা গুলো বাংলাদেশের মূল ধারার অর্থনীতির সাথে যুক্ত হলে অচিরেই সুইজারল্যান্ড এর মত দেশ উপহার দেওয়া সম্ভব। পাচারকৃত টাকা যে সব অমানুষরা পাচার করেছে, তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করুন। শহীদ মিনারের আদলে স্মৃতিস্তম্ব স্থপন করে আমানুষদের নাম খোদাই করে লিপিবদ্ধ করুন এবং স্মৃতিস্তম্বের উপর প্রতিকী জুতা রাখুন।জনগনকে উদ্দেশ্য করে বলুন, হে পথিক, এসিব দূর্নিতিবাজ দের প্রতি জুতা নিক্ষেপ করুন।
লেখকঃ সভাপতি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার, সিলেট।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন