আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সন্ত্রাসবাদ রুখে দেওয়ার ব্যাপারে নিজের শক্ত অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গত ২৫ আগস্ট পূর্বাঞ্চলীয় শহর বিটলিসের এক ইভেন্টে অংশ নিয়ে সন্ত্রাসবাদ রুখে দেওয়ার ব্যাপারে নিজের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। এরদোগান বলেন, সন্ত্রাসবাদকে আবার তুরস্কের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে দেবেন না।
ইভেন্টে এরদোগান বলেন, ‘আমরা যে সন্ত্রাসী হুমকির পিঠ ভেঙে দিয়েছি, তা আবার পুনরুজ্জীবিত হতে দেব না। আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো থেকে সন্ত্রাসবাদের অন্ধকার ছায়া সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শহরগুলোর সম্ভাবনা উত্থাপিত হচ্ছে। এ অঞ্চলে আমাদের প্রদেশগুলোর একটি ভিন্ন গতি পেয়েছে। আস্থার বদলে উদ্বেগ এসেছে, ভয়ের জায়গায় এসেছে শান্তি। এই অঞ্চলে শান্তির পরিবেশ যেমন শক্তিশালী হচ্ছে, বিনিয়োগ দ্রুততর হচ্ছে।’
এরদোগান মূলত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে উল্লেখ করেছেন। কেননা এ সংগঠনটিকে এরই মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ ব্যাপারে তাই নিজ দেশের জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন এরদোগান।
শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার পদক্ষেপ হিসেবে ইরাকের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়াচ্ছে তুরস্ক। যেই লক্ষ্যে এই মাসের শুরুর দিকে পিকেকের বিরুদ্ধে বাগদাদ ও বাশিকায় যৌথ সামরিক কেন্দ্র স্থাপনের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশ দুটি। যেই চুক্তিতে সামরিক ও আইন প্রয়োগকারী প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং সীমান্ত নিরাপত্তার সহযোগিতার রূপরেখা রয়েছে।
ইরাকের সঙ্গে এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে ঘোষণা করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকের সঙ্গে আমরা যে বোঝাপড়ার ঐক্য গড়ে তুলছি, তা এগিয়ে নিতে চাই মাঠে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে।’
নতুন এই চুক্তির অংশ হিসেবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি এবং ৫০ বছরের বেশি ইরাকি নাগরিকদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা মওকুফ করবে তুরস্ক।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার