মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও সাতবারের সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল চৌধুরী বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা সংখ্যা দাঁড়ালো তিনটি।
এর আগে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার ও কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী একই এলাকার শাহদাত হোসেন পৃথকভাবে দুটি মামলা করেন।
মামলা এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন আসামিরা। মামলার আসামিরা সাবেক অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী সরকারের স্থানীয় প্রভাবশালী ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী থাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে শ্রীমঙ্গল এলাকায় সাধারণ মানুষের ক্ষতি করতেন। তারই ধারাবাহিকতায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও তার ভাই এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব)-এর নির্বাচনী সভায় ভাঙচুর করে তিন লাখ টাকার ক্ষতি করেন। শুধু তাই না, শ্রীমঙ্গল এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন তারা।
মামলায় আসামিরা হলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাই কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার হোসেন বুলবুল (৫৮) শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জগৎ জ্যোতি ধর শুভ্র (৫৫) আওয়ামী লীগ নেতা সুধাংশু দেব (৫২) শ্রীমঙ্গল ভূমি অফিসের সাবেক কানুগো শ্রীপদ দেব (৪৮), এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন (৫২) , মো. তারেক মিয়া (৫৬), মো. রফিকুল হক (৫৫) বিটিআরআই, কথিত সুশীল সমাজের নেতা অবিনাশ আচার্য (৫২), শফিকুল ইসলাম জাবেদ (৪৫) আবেদ হোসেন (৩৭), শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় (৫৭), ছালিক আহমদ (৪৮) জয় ধর (৩৬), রাশেদ মিয়া ঠিকাদার (৩৪), দিলবর নগর এলাকার সাবেক কৃষি মন্ত্রীর জমির কেয়ারটেকার খুরশেদ আলম (৬২), নাঈমুর রহমান নাঈম (৩৩), সুব্রত দেব (৪৬), শ্যামল বণিক (৩৩) দিলু বণিক (৫৫) কৃষক লীগের সদস্যসচিব মো. হেলাল আহমদ (৪৫), মো. লিমন মিয়া মেম্বার (৪৫), মো. শাহাজান মিয়া (ড্রাইভার) (৫২), ফরিদ মিয়া সাবেক মেম্বার (৪৫), ছরুক মিয়া (৩৫), নজরুল মিয়া (৩৫)।
মামলাটি আমলে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক মিছবাহুর রহমান।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার