স্টাফ রিপোর্টার:
৫ আগস্ট অর্থাৎ- আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে সিলেটে কোনো কর্মসূচি দিয়ে ঠিকমতো পালন করতে পারেনি বিএনপিসহ কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল। ‘শান্তি সমাবেশ’র নামে মাঠে থাকতো স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন। বিশেষ করে- বর্তমানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে কোণঠাসা করে রাখতেন বিরোধী দলগুলোকে। এছাড়া পুলিশের বাধা তো ছিলোই।
তবে ৫ আগস্ট বিকাল থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন সিলেট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রায় সব নেতা এবং বেশিরভাগ কর্মী। বেশিরভাগই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, আর যারা দেশে আছেন তারা আছেন লুকিয়ে। এ অবস্থায় ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সমবেত হওয়ার ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ এবার ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সবাইকে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়েছে। আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের সমবেত হতে বলা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে এ ডাক দেওয়া হয়।
এদিকে, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিপরীতে সিলেটে মাঠে থাকবে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। সিলেট বিএনপি সূত্র জানিয়েছে- শেখ হাসিনার একটি ভিডিও বার্তায় ১০ নভেম্বর (রবিবার) দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে রবিবার সকাল ১০টায় মহানগরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের এক বিক্ষোভ মিছিল বের হবে। এতে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। ছাত্রদলসহ সব শাখা-সংগঠনের নেতাকর্মীকে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার আহবান জানানো হয়েছে।
এদিকে, আজ সিলেটে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি পালন করবে কি না এ বিষয়ে জানতে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার মুঠোফোন নাম্বারে কল দিলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরীর মুঠোফোন নাম্বারের হোয়াটসআপে একাধিকবার কল করলে ওপ্রান্তে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 983 বার