স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের কাইঘাটে এ মাসের ১৯ দিনে ৪টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবগুলোই আলোচিত। পুকুর থেকে বিএনপি কর্মীর লাশ উদ্ধার, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাত ভাইয়ের হাতে বৃদ্ধ খুন, শিশু মুনতার হত্যা ও সর্বশেষ বন্ধুর হাতে ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুমিন খুনের ঘটনায় আলোচনায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা। পুলিশ বলছে, এসব ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। বাকিদেরও গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কয়েকজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুকুর থেকে বিএনপির কর্মীর লাশ
চলতি মাসের ৭ নভেম্বর কানাইঘাট উপজেলায় ২নং লক্ষীপ্রাসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের গোরকপুর (খাইল্লাকোনা) গ্রামের একটি পুকুর থেকে রেজওয়ান আহমদ (৩০) নামের এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রেজওয়ান ঐ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় বিএনপির কর্মী ছিলেন।
পরিবারের দাবি মৃত্যুর ঘটনা কোন অবস্থাতেই স্বাভাবিক নয়। এটি হত্যাকাণ্ড। তাকে পুকুরে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
এর পরের দিন উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে জোবায়ের হোসেন নামে একজন বৃদ্ধ খুন হন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত সুলতান আহমদকে গ্রেফতার করে। যানা যায় তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মুনতাহা হত্যাকাণ্ড
১০ নভেম্বর নিখোঁজের আটদিন পর সিলেটের কানাইঘাটে অপহৃত শিশু মুনতাহা মরদেহ বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে সরানোর সময় প্রতিবেশী নারীকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। প্রতিবেশি ও মুনতাহার শিক্ষক মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ও মারজিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণ করা হচ্ছে। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর সকালে নিখোঁজ হয় কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে ৫ বছরের কণ্যা শিশু মুনতাহা।
বন্ধুর হাতে খুন হলেন ছাত্রদল নেতা
সবর্শেষ সোমবার বিকালে কানাইঘাটে বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা। নিহত মো. আব্দুল মুমিন (২৮) কানাইঘাট পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও পৌরসদরের ধনপুর গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে।
রাজু আহমদ নামের বন্ধুর ক্ষুরের আঘাতে অধিক রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। অভিযুক্ত রাজুও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল বলেন- কানাইঘাটে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডগুলো অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কয়েকজনে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আসামিদে মধ্যে কয়েকজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 980 বার