আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে বন্ধ হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি ব্যাংক। আর এ নিয়ে দেশটির সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এছাড়া আটকে গেছে অনেকের অর্থ। এমন সময় গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে এগিয়ে এসেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, সব গ্রাহক তাদের অর্থ ফেরত পাবেন। এছাড়া ব্যাংক কাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার (১২ মার্চ) প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, সিলিকন ভ্যালি এবং সিগনেচার ব্যাংকের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা যেন তাদের সঞ্চিত অর্থ ফিরে পান সেজন্য অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন এবং জ্যেষ্ঠ অর্থ উপদেষ্টা লায়েল ব্রেইনার্ড তার নির্দেশক্রমে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি খুশি তারা একটি সমাধানে পৌঁছেছে, যেটি ছোট ব্যবসা ও মার্কিনিদের অর্থ রক্ষা করবে এবং আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিরাপদ রাখবে। এই সমাধান আরও নিশ্চিত করেছে করদাতাদের অর্থ ঝুঁকিতে পড়বে না।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করব এবং এ ধরনের পরিস্থিতিতে যেন আমরা আর না পড়ি সেজন্য আমাদের ব্যাংতের নীতি আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কাজ করে যাব।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রোববার আইনপ্রণেতাদের কাছে এ বিষয়টির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেছেন। এছাড়া সোমবার ‘স্থিতিস্থাবক ব্যাংকিং ব্যবস্থা’ নিয়ে কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে আটকে যাওয়া সব অর্থ যেন গ্রাহকরা পেতে পারে সেজন্য রোববার নাটকীয় জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
তবে এই ঘোষণার পর নতুন আরেকটি বিষয় সামনে এসেছে— যদি সোমবারের মধ্যে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বিষয়টি ব্যাংকিং খাতে আরও জটিল প্রভাব ফেলবে।
যখন ফেডারেল ডিপোজিট ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন শুক্রবার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন সংস্থাটি জানায়, যেসব গ্রাহকের সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ইন্সুরেন্সের অধীনে আছে শুধুমাত্র তারা সোমবারের মধ্যে অর্থ ফেরত পাবেন।
তবে এ বিষয়টির সঙ্গে জড়িত প্রচুর অর্থ এবং প্রভাব। এখন মার্কিন সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করা ছোটো ও মাঝারি কোম্পানিগুলোকে আশ্বস্ত করা যে তাদের অর্থ নিরাপদ। যদি এটি না করা যায় তাহলে ওই কোম্পানিগুলো কর্মী ছাঁটাইসহ বিভিন্ন কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে পারে।
এদিকে এর আগে ২০০৮ সালে ওয়াশিংটন মিউচ্যুয়াল নামের একটি ব্যাংকে ধস নামে। এরপর এটি অন্যান্য ব্যাংকেও ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবার এমন কোনো কিছু হবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার