স্টাফ রিপোর্টার:
‘এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে যে আমার শক্তি একমাত্র আমার জনগণ। আর উপরে আল্লাহ আছেন।’ সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমার বাবার আর্শীবাদের হাত আমার মাথায় ওপরে আছে। কাজেই কে কী চাপ দিল না দিল, তা নিয়ে আমার কিছু আসে যায় না।
‘জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে যা কিছু করার তা আমি করব। এরকম বহু চাপ আমাকে দেওয়া হয়েছিল। পদ্মসেতুর আগে তো কম চাপ দেওয়া হয়নি। অনেক চাপের পরও কিন্তু নিজেদের অর্থে আমরা পদ্মাসেতু বানিয়ে দেখিয়েছি।’
৭০ বছর বয়সেও একটা লোক এমডি থাকতে চায়, সেই চাপও শেখ হাসিনা সহ্য করেছে— মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
টাকা দিয়ে অ্যাড কেন দিবে?
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যিনি এত নামিদামি, তার জন্য ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাড দিতে হবে কেন— এটি আমার প্রশ্ন’।
এটা ঠিক বিবৃতি না, এটা একটি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট— উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করেছে আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে, এর উত্তর কী দেব জানি না। আমার একটা প্রশ্ন আছে, প্রশ্নটা হলো যিনি এত নামিদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত তার জন্য ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। এটাই আমার প্রশ্ন আর কিছু না। অ্যাড দিতে হলো কেন?’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমার দেশে কতগুলো আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী সব চলবে এবং চলে। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করি। যারা ট্যাক্স ঠিক মতো দেয়, আলাদা বিভাগ আছে. তারা ট্যাক্স আদায় করে। কেউ যদি এই সমস্ত বিষয়ে কোনো রকম আইন ভঙ্গ করে, শ্রমিকদের অধিকার; শ্রম আদালত সেটা দেখে। এখানে তো আমার কিছুই করার নেই, সরকারপ্রধান হিসেবে। সেখানে আমাকে বা-ই কেন বলা হলো? এর বাইরে আমি কী বলব? পদ্মাসেতু কিন্তু করে ফেলেছি, খালি এটুকু সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলাম।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 997 বার