স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজার থানার বহুল বিতর্কিত (অপারেটর) মহি উদ্দিনকে ক্লোজড করেছে পুলিশ প্রশাসন। সোমবার তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগেও তাকে বিয়ানীবাজার থানা থেকে একাধিকবার বদলী করা হয়। তবে অদৃশ্য খুঁটির জোরে তিনি ফের বিয়ানীবাজারে চলে আসেন।
জানা যায়, মহি উদ্দিন ছিলেন বিয়ানীবাজার থানার পুলিশের অঘোষিত বড় কর্তা। থানায় প্রবেশের প্রথম কক্ষে তিনি বসে দায়িত্ব পালন করার সুবাধে সাধারন সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতেন। জিডি অথবা এজাহার লিখে দিয়ে বাড়তি টাকা আয় করতেন। ইউরোপ ও আমেরিকা প্রবাসীরা থানায় কোন কাজে আসলে তাদের কাছে মোবাইল ফোন উপডৌকন চাইতেন মহি উদ্দিন। এরকম অন্তত: ৩০জন ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন উপডৌকন পান তিনি। থানায় অপারেটরের বাড়তি দায়িত্ব পালনের সুযোগ নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরী করেন। যাদের মাধ্যমে নানারকম অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। থানা পুলিশের অনেক গোপন তথ্য তিনি বাইরে পাচার করতেন। এমনকি পুলিশের অনেক অভিযানের খবরও তিনি আগেই প্রকাশ করে
ফেলতেন। স্থানীয় মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটদের সাথে তার বেশ দহরম-মহরম ছিল। পৌরশহরের অনেক ট্রাভেলস ব্যবসায়ী এবং আদম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাসোহারা নিতেন তিনি।
সম্প্রতি ঘুঙ্গাদিয়া এলাকার জনৈক ট্রাভেল ব্যবসায়ীর সাথে একটি পেশাদার বাহিনীর এক নারীর পরকিয়া সংক্রান্ত অনৈতিক সম্পর্কেও তার ইন্ধন রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সিলেট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মহি উদ্দিনকে যে কারনে ক্লোজড করা হয়ে তাহা পরবর্তীতে জানা যাবে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইসচার্জ (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, থানায় অতিরিক্ত অপারেটর থাকায় আমি পুলিশ সুপার মহোদয়কে আলাপ করে তাহাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাহার অভিযোগের বিষয় আমার জানা নেই।
সার্বিক বিষয় নিয়ে (অপারেটর) মহি উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে খুব দ্রুতই আমি বিয়ানীবাজার থানায় ফিরে আসবো।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার