
স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের অভ্যন্তরে খাসিয়া চোরাকারবারিদের আঘাতে খুন হন বাংলাদেশি তরুণ শাহেদ আহমদ (২৫)। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহেদ কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী মঙ্গলপুর আলুবাড়ি গ্রামের মশাহিদ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে শাহেদ কাজের উদ্দেশে আরো কয়েকজনের সঙ্গে কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মঙ্গলপুর আলুবাড়ি এলাকা দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের লাইজুরি এলাকায় অনুপ্রবেশ করেন।
রাত পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় শুক্রবার সকালে শাহেদের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন শাহেদ আহমদের বুকে গুলিবিদ্ধ লাশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের লাইজুরী বাঁশকোনা এলাকার ১৩১৯নং পিলারের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে।
কানাইঘাট উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারতে প্রবেশের পর এক পর্যায়ে ভারতীয় (খাসিয়া) চোরাকারবারিদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন শাহেদ আহমদ। তাদের আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি বিজিবির মাধ্যমে বিএসএফকে অবগত করলে বিএসএফ একজন মৃত ব্যক্তির স্থিরচিত্র পাঠায় এবং সেটি দেখে স্বজনরা নিশ্চিত করেন এটি শাহেদের মরদেহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যতটুকু জেনেছি ভারতের অভ্যন্তরে দেশটির (খাসিয়া) চোরাকারবারিদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তাদের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির মরদেহ আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ভারতীয় খাসিয়া নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার