স্পোর্টস ডেস্ক:
তিন মাস ক্লাব ফুটবলের খেলায় ব্যস্ত সূচি পার করেছেন বিশ্ব ফুটবলের তারকা-মহাতারকারা। কাতার বিশ্বকাপে প্লে-টাইম কম পাওয়া এবং দলের হতাশাজনক বিদায়ে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সময়টাও ভালো ছিল না। এরপর তিনি যোগ দেন সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরে। অবশ্য সেখানেও শুরুর সময়টা তিনি বিদ্রুপ আর ফর্ম-হীনতায় কাটান। ধীরে ধীরে তিনি নিজের ছন্দে ফিরেছেন। তার মাঝেই বিরতি দিয়ে দেশের জার্সিতে খেলার ডাক পড়েছে জনপ্রিয় এই তারকার। ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বের ম্যাচে নামলেই তিনি আরেকটি রেকর্ডের খাতায় নাম লেখাবেন।
ক্লাব ফুটবলে এতদিন ব্যস্ত থাকা সব ফুটবলারই ফিরতে শুরু করেছেন আর্ন্তজাতিক ফুটবলে। জাতীয় দলের হয়ে মেসির সর্বশেষ ম্যাচ স্বপ্নের মতো হলেও রোনালদোর জন্য ছিল বিপরীত। তবে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর জাতীয় দলে ফিরে স্বদেশি সতীর্থদের ভিড়ে অনুশীলেন ফুরফুরে মেজাজেই আছেন রোনালদো। তিন মাস বিরতির পর আগামী শুক্রবার ইউরো বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচ খেলবেন তিনি।
পর্তুগালের ডাগআউটে বিশ্বকাপের সময়কার সেই কোচ নেই। নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ রোনালদোর ওপরই আস্থা রাখতে চান। তাকে দেশের জার্সিতে ফেরাতে চান পুরনো ছন্দে। নিজেদের মাঠে লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নামবেন রোনালদোরা। মাঠে নামলেই সিআরসেভেন দুর্দান্ত এক মাইলফলক স্পর্শ করবেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডের সামনে সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
কাজাখাস্তানের বিপক্ষে ২০০৩ সালে অভিষেকের পর ২০ বছরের আর্ন্তজাতিক ক্যারিয়ারে ১৯৬ ম্যাচ খেলেছেন ৩৮ বছর বয়সী রোনালদো। সমান ম্যাচ খেলেছেন কুয়েতের কিংবদন্তী ফুটবলার বাদার আল-মুতাওয়া। কাকতালীয়ভাবে রোনালদোর সঙ্গে বয়স এবং অভিষেকের সময় মিলে যাওয়া মুতাওয়ার করা রেকর্ড অতিক্রম করা সিআরসেভেনের কাছে এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
রোনালদোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যাকে ভাবা হয় সেই মেসি এই রেকর্ডে অনেকটা দূরেই আছেন। আর্জেন্টিনার হয়ে ১৭২ ম্যাচ খেলেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। জাতীয় দলের হয়ে এখনই অবসরের চিন্তা করছেন না সময়ের সেরা এই দুই ফুটবলার।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার