স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের বিপুলসংখ্যক ভূমিহীন ও দলিত শ্রেণির মানুষের স্বার্থবিরোধী কিছু বিষয়ও প্রস্তাবিত ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ আইনে স্থান পেয়েছে। এতে নদী বা নদীতীর-সংশ্লিষ্ট আইন শিথিল করা হয়েছে। পরিবেশ ধ্বংসের নেপথ্যের ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে:
জমির দলিল জাল করলে দণ্ডবিধিতে সাজা ১০ বছরের কারাদণ্ড। অথচ প্রস্তাবিত ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ আইনে এমন অপরাধের সাজা কমানো হয়েছে। খসড়া এই আইনে মাত্র দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অপরাধ প্রতিরোধে মাত্রা বিবেচনায় যেখানে সাজা বাড়ানোর কথা, সেখানে উল্টো এতটা কমানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে কেন।
ভূমির জালিয়াতি, অবৈধ দখল, প্রতারণা ও অপরাধ দমন, পেশিশক্তি বা অস্ত্রের ব্যবহার রোধে নতুন ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ শীর্ষক খসড়া আইন করা হয়েছে। আইনটি মন্ত্রিপরিষদে পাঠানোর আগে যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধে যে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, খসড়া আইনে প্রায় সব ক্ষেত্রেই তা কমানো হয়েছে। শুধু সাজা কমানো নয়, খসড়া আইনে বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অনেক ধারা যুক্ত করা রয়েছে। যেসব বিষয়ে দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার, সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আনা হয়েছে।
দেশের বিপুলসংখ্যক ভূমিহীন ও দলিত শ্রেণির মানুষের স্বার্থবিরোধী কিছু বিষয়ও খসড়ায় স্থান পেয়েছে। নদী বা নদীতীর-সংশ্লিষ্ট আইন শিথিল করা হয়েছে। পরিবেশ ধ্বংসের নেপথ্যের ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে ছাড়। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সুরক্ষায় যেসব বিধি ছিল, তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নানা ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
ভূমি অধিকার আইনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমি অপরাধ দ্রুত প্রতিকারের নামে বিচার বিভাগের ক্ষমতা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এতে অপরাধ দমন হবে না, বরং বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের সাংঘর্ষিক অবস্থার সুযোগ নেবে অপরাধীরা।
খসড়া আইনে সাজা কমল
প্রস্তাবিত আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কেউ ব্যক্তিমালিকানাধীন বা সরকারি খাসভূমিসহ সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার জমি নিজের নামে নিবন্ধন করে জাল দলিল বানায়, তার কমপক্ষে ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, খসড়া আইনে সাজা এমনভাবে কমানো হয়েছে, যাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা যায়। অথচ বিদ্যমান দণ্ডবিধিতে জাল দলিল তৈরির মতো অপরাধের সাজা ১০ বছরের কারাদণ্ড হলেও প্রস্তাবিত আইনে দুই বছর করা হয়েছে। এই ধারা বলবৎ হলে আরও কিছু জটিলতা সৃষ্টি হবে। যেমন যখন জমির স্বত্ব প্রমাণের কোনো মামলা দেওয়ানি আদালতে চলবে, তখন তার অবস্থান কী হবে? আদালতে চলমান কোনো বিষয়ে সমপর্যায়ের অন্য কোনো আদালত কীভাবে বিচার করবেন?
এসব প্রশ্নের কোনো পরিষ্কার উত্তর খসড়া আইনে নেই। আবার খসড়া আইনের ৭ ধারায় বিদ্যমান আইনের চেয়ে কম দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ধারায় একই জমি একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রির দণ্ডের কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের জালিয়াতি সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর রাখা হয়েছে। অথচ দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় এ ধরনের অপরাধের সাজা সাত বছর।
আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক
খসড়া আইনের ৫ নম্বর ধারায় জমির মালিকানা না থাকা সত্ত্বেও জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে জাল দলিল করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ৬ নম্বর ধারায় মালিকানার অতিরিক্ত জমি লিখে নিলে দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জমির মালিকানা ও দখল না থাকার বিষয়টি জেনেও দখলে থাকা মালিকানার অতিরিক্ত জমি বিক্রি করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এই ধারার কারণে দলিলে উল্লেখ থাকা জমি মূল মালিকের দখলে না থাকলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। কারও জমির মালিকানা থাকার পরও দখল না পেয়ে বিক্রি করে দিলে তিনি দায়ী হতে পারেন না। এ ছাড়া এখনো বেশির ভাগ পরিবারের বণ্টকনামা নেই। সে ক্ষেত্রে এ ধারা প্রয়োগ বেশ জটিলতা সৃষ্টি করবে।
ভূমি অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) ব্যবস্থাপক (কর্মসূচি) রফিক আহমেদ সিরাজী বলেন, জাল দলিল প্রমাণের বিষয়টি দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার। এটাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিচারপ্রক্রিয়ায় আনা হলে দুই আদালতের মধ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া প্রস্তাবিত আইনের বেশ কিছু ধারায় অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের বিধান রাখা আছে। তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত কীভাবে প্রয়োগ করবেন? কারণ, ভ্রাম্যমাণ আদালত সর্বোচ্চ দুই বছর সাজা দিতে পারেন।
আইনের ৩৩ ধারা অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাঁদের আওতাধীন ব্যক্তিমালিকানা বা সরকারি খাসজমি সুরক্ষায় কাজ করবেন। আবার এসব কাজ বাস্তবায়নে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০ ধারায় নিজেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ আলী বলছেন, এখানে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই অভিযোগকারী। আবার তিনিই বিচার করবেন। এটা বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন।
ভূমিহীন মানুষের স্বার্থবিরোধী
প্রস্তাবিত আইনের ১২ নম্বর ধারায় অবৈধ দখলের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিমালিকানাধীন বা সরকারি খাসভূমিসহ সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার ভূমি দখল করেন অথবা ভূমি দখল অব্যাহত রাখেন, তাহলে সেটি হবে অপরাধ। এ অপরাধে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর বা কমপক্ষে এক লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৪০ লাখের বেশি পরিবার ভূমিহীন। অনেকে পতিত খাসজমিতে বসবাস করেন। আদালতের নির্দেশনা রয়েছে, এমন ভূমিহীনদের পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা যাবে না। তাই প্রশ্ন উঠেছে, পতিত খাসজমিতে বসবাসরত ভূমিহীনদের ক্ষেত্রে কী হবে?
আবার দেশের বিভিন্ন শহরে অকৃষি খাসজমিতে দলিত শ্রেণির কলোনি আছে। এসব সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। সম্প্রতি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরের তেলেগু কলোনি থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অথচ তারা দীর্ঘদিন ওই কলোনিতে বসবাস করছে। খসড়া আইনটি পাস হলে এমন মানুষকে উচ্ছেদের আইনি ভিত্তি পাওয়া যাবে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ আলী। তিনি বলেন, এই আইন এসব মানুষকে নয়, ক্ষমতাধরদের সুরক্ষা দেবে।
আইনের ২২ ধারায় সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণের দায়ে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পতিত খাসজমিতে ভূমিহীনেরা থাকলে তাঁদের অবস্থান কী হবে।
পরিবেশ সুরক্ষায় ছাড়
খসড়া আইনের ১৪ ধারায় অবৈধ মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের দায়ে দুই বছরের সাজার কথা বলা আছে। অথচ পরিবেশ আইনে এ অপরাধের সাজা পাঁচ বছর।
এখানেও মূলত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে। মাটি কাটা বা বালু উত্তোলনের মতো কাজে থাকেন সাধারণ শ্রমিকেরা। আর ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ বন্ধ করতে এসে এসব শ্রমিকই পাবেন। আর তাৎক্ষণিক তাঁদেরই সাজা দেওয়া হবে। অথচ শ্রমিকেরা বালু উত্তোলন বা মাটি কাটা বৈধ নাকি অবৈধ, জানেন না। এভাবে বিচার হলে মূল হোতারা থেকে যাবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
একইভাবে ১৬ ধারায় ভূমিমালিকের বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জমির ওপরের স্তর থেকে মাটি তোলার দণ্ড ধার্য করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছেন, ভূমির ওপরের স্তরের মাটি কাটার বিষয়টি প্রতিরোধে শাস্তির ব্যবস্থারও দরকার আছে। তবে শ্রমিক নয়, যিনি মাটি কাটার নির্দেশনা দিয়েছেন, তাঁর শাস্তি হতে হবে। আবার কী উদ্দেশ্যে মাটি কাটছেন, সেটিও বিবেচনায় আনতে হবে। ইটভাটার জন্য নাকি নিজের বাড়ির ভিটা উঁচু করতে, নাকি রাস্তার কাজে মাটি নিচ্ছেন, সেটা দেখতে হবে।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কী হবে
পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ শত শত বছর ধরে পাহাড়ে বসবাস করছেন। পাহাড় ঘেঁষেই এসব জাতির মানুষ বসতবাড়ি নির্মাণ করেন। খসড়া আইনের ফলে তাঁদের এই বাসগৃহ নির্মাণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, পাহাড়ের পাদদেশে স্থাপনা করলে তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিমালিকানা না থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি পাহাড় বা টিলার পাদদেশে যেকোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করিয়া বসতি স্থাপন করেন, তাহা হইলে তাহাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় উচ্ছেদ করিতে পারিবে।’
খসড়া আইন বিদ্যমান আইনের সঙ্গে শুধু সাংঘর্ষিক নয়, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের আইনি অধিকারের পরিপন্থী।
পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনটি সার্কেল রয়েছে। তিন সার্কেলে প্রধান বা রাজা আছেন। তাঁদের অধীন হেডম্যানদের কাছ থেকে ভূমির বন্দোবস্ত নেন পাহাড়িরা। আবার বৃহত্তর সিলেটে খাসি জনগোষ্ঠীর মানুষের বাস পুঞ্জিতে। পাহাড় বা টিলার ওপর এসব পুঞ্জি তৈরি।
খসড়া আইন চূড়ান্ত হলে তাঁদের বসবাসের অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মনে করেন বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের সভাপতি পিডিসিন প্রধান সুচিয়াং। তিনি বলেন, আইনের খসড়া করার সময় পাহাড়ের মানুষের অধিকারের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়নি। পাহাড় ও সমতল—সব অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বড় সমস্যা ভূমি।
সরকারি কর্মকর্তাদের ‘সরল বিশ্বাস’
খসড়া আইনের ৪৯ ধারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ন্ত্রিত সুযোগ দিয়েছে। সেখানে বলা আছে, ‘সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজকর্মের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ জন্য সরকার বা কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।’
আইনজ্ঞরা বলছেন, খসড়া আইনের এ ধারা থাকলে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ‘সরল বিশ্বাসে’ বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়বেন। যেকোনো আইনে দায়মুক্তির বিধান রাখা বিপজ্জনক।
ভূমিসচিব মোস্তাফিজুর রহমান খসড়া আইন সম্পর্কে বলেন, ‘খসড়াটি এখন মন্ত্রিপরিষদের যাচাই-বাছাই কমিটিতে আছে। এ নিয়ে এখন বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে এতে সাংঘর্ষিক কিছু থাকলে সংশোধনের সুযোগ আছে।’
যা বলছেন আইনজ্ঞরা
খসড়া আইনে সংশোধনের সুযোগ থাকলেও ভূমির মতো এত জটিল ও বিস্তৃত বিষয়ে এত অসংগতি ভূমি অধিকারকর্মীদের বিস্মিত করেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ভূমির অধিকার একটি সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখলে এর অর্থ দাঁড়ায়, “আমাদের সাংবিধানিক অধিকারের প্রাথমিক রক্ষক ভ্রাম্যমাণ আদালত হয়ে যাচ্ছে, যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তা ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে একবার শাস্তি হলে প্রচলিত আদালতে যুক্তি দাঁড় করানো হবে, এক অপরাধে দুবার শাস্তি হতে পারে না।”’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, আইনের খসড়া করার সময় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে যথেষ্ট আলোচনা করা হয়নি। এটা একপেশে আমলাতান্ত্রিক উদ্যোগের একটি নমুনা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ আলী বলছেন, খসড়াটি বিদ্যমান আইনের পরিপন্থী। আইনটি হলে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির বিরোধ নিষ্পত্তিতে দেওয়ানি আদালতের ক্ষমতা কোথায় যাবে? জমি খাস নাকি মালিকানাধীন, নির্বাহী কর্মকর্তা কীভাবে তা নির্ধারণ করবেন?
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার