
স্টাফ রিপোর্টার:
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে রোববার দুপুরে ছিল তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েচিলেন সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। কিন্তু তা আর হয়নি। এলাকার কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ তাকে ধাওয়া করে ধরেন। তারপর তাকে মারধর করে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদের বাড়িতে। এরপর হস্তান্তর করা হয় পুলিশে।
ঘটনাটি ঘটেছে কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের চটি গ্রামে। আর মারধর করে পুলিশে দেয়া চেয়ারম্যান হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা এবং মানব সম্পদবিষয়ক সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমদ।
জানা যায়, রোববার দুপুরে চটি গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর কিছু লোক তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে এবং মারধর করে নিয়ে যায় উপজেলা বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদের বাড়িতে। এরপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
মামুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, এই চেয়ারম্যান আওয়ামী আমলে মানুষকে অনেক কষ্ট ও যন্ত্রনা দিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অত্যাচার করেছেন। বিএনপি নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মামলাও আছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ক্ষুব্ধ লোকজন তাকে ধরে বাড়ি নিয়ে এসেছিল। তাকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে সুরক্ষা দিয়েছি।
ইউপি নির্বাচনের সময় আফসার উদ্দিন মামুনুর রশীদকে কোনো সভা করতে দেননি। ব্যানার কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার।
কানাইঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সায়েম গণমাধ্যমকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তার ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার